Terror Funding Case: জঙ্গিদের ‘কোড ওয়ার্ড’ ঘি, দাবি গোয়েন্দাদের; আদালত বলছে প্রমাণ নেই
Terrorist Code Word: ঘি কথাটি জঙ্গিরা বিস্ফোরকের 'কোড ওয়ার্ড' হিসেবে ব্যবহার করে। এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)। জঙ্গিদের ফান্ডিং সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লি আদালতে জমা করা রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।
নয়া দিল্লি : ঘি। গরম ভাতের সঙ্গে এক মাহাত্ম্য যে কী, তা কোনও বাঙালিকেই আর আলাদা করে বোঝানোর দরকার পড়ে না। কিন্তু জানেন কি এই ‘ঘি’ জঙ্গিদের একটি সাংকেতিক শব্দ? ঘি কথাটি জঙ্গিরা বিস্ফোরকের ‘কোড ওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করে। এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)। জঙ্গিদের ফান্ডিং সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লি আদালতে জমা করা রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। যদিও আদালত বলছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ নেই।
গোয়েন্দারা তদন্ত করে দুটি শব্দ খুঁজে বের করেছিলেন। একটি ঘি। যেটি বিস্ফোরক বোঝাতে ব্যবহার করা হত। আর অন্যটি ‘খিদমত’। এটির অর্থ,বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোনও জঙ্গির নাশকতামূলক কার্যকলাপ। এমনটাই দাবি করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু আদালত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গতিবিধি সন্দেহজনক। কিন্তু এই ধরনের শব্দগুলির একাধিক অর্থ হতে পারে। সরকার পক্ষের তরফে এই শব্দগুলির কোনও একটি নির্দিষ্ট অর্থ তুলে ধরতে পারেনি। আর সেই কারণে চার অভিযুক্তকে আজ খালাস করে দিয়েছে আদালত।
হরিয়ানার পালওয়াল জেলার উত্তাওয়ারে খুলাফালা-ই-রাশিদীন মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে মহম্মদ সলমন, মহম্মদ সালিম, আরিফ গুলাম বাশির ধরমপুরিয়া এবং মহম্মদ হুসেন মোলানিকে গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে আর্থিক মদত দিচ্ছিল তারা। গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগট ফালা-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন থেকে টাকা আসছিল মহম্মদ সলমনের কাছে। এর পাশাপাশি দুবাই নিবাসী পাকিস্তানি মহম্মদ কামরানের সঙ্গেও যোগ ছিল বলে অভিযোগ। এই কামরান স্লিপার সেল তৈরিতে মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। অন্য দুই অভিযুক্ত সালিম এলবং মৌলানির থেকেই টাকা ঢুকেছিল সলমনের অ্যাকাউন্টে। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, বাশির ধরমপুরিয়া দুবাইয়ের কামরানের দলের লোক এবং সলমনরা কীরকম কাজ করছে তা দেখে কামরানকে প্রতিমুহূর্তের খবর জানাত।
অভিযুক্তদের বক্তব্য ছিল যে ওই টাকা মসজিদ নির্মাণ এবং দরিদ্র মুসলিম মহিলাদের বিয়ের মতো জনহিতকর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি যে এই টাকা স্লিপার সেল তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এফআইএফ প্রতিষ্ঠা করেছিল হাফিজ সাইদ-এর নেতৃত্বাধীন জামাত-উদ-দাওয়া। ২০১২ সালে রাষ্ট্রসংঘ এফআইএফকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এবং রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক হাফিজ মহম্মদ সৈয়দকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ঘটনার শুনানি চলাকালীন আদালত জানিয়েছে যে গোয়েন্দাদের রেকর্ডে এমন কোনও প্রমাণ নেই যা এফআইএফ বা লস্কর-ই-তৈবার (এলইটি) জন্য কোনও স্লিপার সেল বা কোনও ঘাঁটি তৈরির জন্য এই তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : CM Mamata Banerjee: গোয়া সফরের জন্য মুখিয়ে মমতা, সাগরতীরে ‘নতুন ভোর’ই লক্ষ্য