‘বিজেপি কীভাবে রুখতে হয় হায়দরাবাদ থেকে শিখুক গোটা দেশ’

কেসিআর-কন্যা বলেন,"আমরা দুর্বল দল নই। আমাদের ৬০ লাখ সদস্য রয়েছে এবং ২০২৩ সালে যাতে আমরা এগিয়ে থাকি, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করব। আমরা বিজেপিকে বৃহত্তম দল হতে দিইনি। টিআরএস-কে দেখে বাকি দেশের শেখা উচিত, কীভাবে হায়দরাবাদে বিজেপির উত্থানকে আটকে দেওয়া হয়েছে।"

'বিজেপি কীভাবে রুখতে হয় হায়দরাবাদ থেকে শিখুক গোটা দেশ'
তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা তথা টিআরএস নেত্রী কে কবিতা।
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 4:57 PM

হায়দরাবাদ: বৃহত্তর হায়দরাবাদ পুর নির্বাচনে (GHMC election 2020) টিআরএস (TRS) একক বৃহত্তম দল হলেও বিজেপি (BJP)-র রকেটগতিতে উত্থান চিন্তায় ফেলেছে কেসিআরকে। ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁতে ১২টি আসনের ঘাটতি রয়েছে টিআরএস (TRS)-র। সেক্ষেত্রে মেয়র পদ পেতে তাঁদের আসাউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম (AIMIM)-র সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই হাই ভোল্টেজ পুর নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসায় রীতিমত আত্মপ্রত্যয়ী সুর শোনা গেল কেসিআর (K C Rao)-কন্যা  কে কবিতার (K Kavitha) গলায়। ফল ঘোষণার পর তিনি বলেন,”হায়দরাবাদ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে বিজেপিকে আকটাতে হয়।”

গত নির্বাচনের তুলনায় এবার আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাওয়ার বিষয়ে কে কবিতা বলেন,”বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। দল যে সংখ্যা আশা করেছিল, তার তুলনায় অনেকটাই কম পেয়েছি আমরা। প্রায় এক ডজন ওয়ার্ডে আমরা খুব কম ব্যবধানে হেরেছি।” নিজেদের আসন সংখ্যা খোয়ানোর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে। সব জায়গায় আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করা বিজেপির কৌশল। এখন আমরা বিজেপির এই কৌশল বুঝে গিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এক পা এগিয়ে থাকার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকব।”

কেসিআর-কন্যা আরও বলেন,”আমরা দুর্বল দল নই। আমাদের ৬০ লাখ সদস্য রয়েছে এবং ২০২৩ সালে যাতে আমরা এগিয়ে থাকি, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করব। আমরা বিজেপিকে বৃহত্তম দল হতে দিইনি। টিআরএস-কে দেখে বাকি দেশের শেখা উচিত, কীভাবে হায়দরাবাদে বিজেপির উত্থানকে আটকে দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে মোদীর বাসভবনে শাহ, রাজনাথ

বিজেপির কাছ থেকে রাজ্যবাসী যাতে প্রত্যাশা না রাখে, তা বোঝাতে কবিতা বলেন, “বন্যার সময় বিজেপি সরকারের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের সময়ও টিআরএস ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করেছিলেন কিন্তু বিজেপি সেই ত্রাণ আটকে দিয়েছিল। এবার কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হায়দরাবাদের মানুষকে সাহায্য করবে?”

টিআরএস ও বিরোধী দল মিম-র মধ্যে কোনও জোট না থাকলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল বরাবরই। বিজেপির আচমকা উত্থানে ভোট খুইয়েছে টিআরএস। ফলে, এবার মিমের কাছেই সাহায্যের হাত বাড়াবে কে সি আরের দল, তা এক প্রকার স্পষ্ট। সাধারণ পুরসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের দিয়ে প্রচার ও হিন্দুত্ববাদের ঝড়েই যে ভোট খুইয়েছে টিআরএস, তা বুঝে গিয়েছেন কেসিআর। ফলে আগামী নির্বাচনে খেলা আরও কঠিন হতে চলেছে , তা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিলেন তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেত্রী।

আরও পড়ুন: নিজামের শহরে উড়ছে গেরুয়া পতাকা, এবার কি তবে তেলেঙ্গানা