AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

NEET 2022 Kerala: পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে ছাত্রীদের খুলতে হল ‘ব্রা’, কেউ হুক কেটে নিলেন বেঁধে!

NEET 2022 Kerala: কেরলের কোল্লাম জাতীয় পরীক্ষা এজেন্সির পরিচালনায় জাতীয় যোগ্যতা প্রবেশিকা পরীক্ষা ২০২২ বা এনইইটি ২০২২ পরীক্ষা দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার ছাত্রীরা। তাদের ব্রা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

NEET 2022 Kerala: পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে ছাত্রীদের খুলতে হল 'ব্রা', কেউ হুক কেটে নিলেন বেঁধে!
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 9:14 PM
Share

তিরুঅনন্তপূরম: রবিবারই (১৭ জুলাই) জাতীয় পরীক্ষা এজেন্সির পরিচালনায় সারা দেশে জাতীয় যোগ্যতা প্রবেশিকা পরীক্ষা ২০২২ বা এনইইটি ২০২২ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আর তার পরদিনই, সোমবার (১৮ জুলাই), এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল কেরলের কোল্লাম জেলায়। গোপকুমার নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, জেলার এক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে তাঁর মেয়ে-সহ বহু ছাত্রীদের ‘ব্রা’ খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ, তাদের ব্রায়ে ধাতব হুক ছিল। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই হইচই পড়ে গিয়েছে কেরলে। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কোল্লামের (গ্রামীণ) এসপিকে বিষয়টি তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এই ঘটনার বিষয়ে কোত্তারাকারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন গোপুকুমার। তাঁর দাবি, চাথামঙ্গলমের ‘মার্থোমা ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’তে এনইইটি পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মেয়েকে। অভিযোগকারী বলেছেন, ‘প্রাথমিক পরিদর্শনের পর, আমার মেয়েকে বলা হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টরে তাঁর অন্তর্বাসের ধাতব হুক ধরা পড়েছে। তাই তাকে সেটা খুলে ফেলতে হবে। প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলা পরিক্ষার্থীকেই তাঁদের অন্তর্বাস খুলে একটি স্টোর রুমে রাখতে হয়েছিল। ফলে পরীক্ষা দেওয়ার সময় পরীক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।’

অভিযোগকারী গোপকুমার তাঁর অভিযোগে আরও বলেছেন, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র ড্রেস কোডে কোথাও লেখা নেই, ব্রা বা অন্তর্বাসে ধাতব হুক থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ছাত্রীরা ব্রা খুলতে অস্বীকার করে। সেই সময় এনইইটি পরীক্ষার কর্মীরা না কি ওই ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তোমাদের ভবিষ্যত না কি ব্রা?’ এই প্রচ্ছন্ন হুমকির মুখে আর কোনও কথা বলতে পারেননি ছাত্রীরা। বেশিরভাগই ব্রা খুলেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। অনেকে আবার ধাতব হুক কেটে ফেলে দিয়ে, ব্রায়ের স্ট্র্যাপগুলি বেঁধে নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেন। তবে, ওই অভদ্র আচরণের ফলে যে মানসিক ধাক্কা খেতে হয়, তারপর আর স্বচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি ওই ছাত্রীদের পক্ষে।

পুলিশ এই বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা গোপকুমারের মেয়ের বক্তব্য রেকর্ড করবে এবং তাঁকে এই বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এদিকে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ দাবি করে, এনটিএ কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রকে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছেন কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর. বিন্দু। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রতকের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার পৃথক তদন্ত করা হবে। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরাও। গোটা ঘঙটনায় একটাই আশার আলো দেখছেন তাঁরা, মেয়েটির বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই ঘটনার বিষয়ে গুরুতর তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দোষী পরিদর্শকদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। ওই মেয়েদের গ্রেস মার্ক দেওয়ার দাবিও উঠেছে।