লকডাউন উঠলেও ১০ মে অবধি জারি থাকবে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ, নির্দেশ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর
গোয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬ হাজার ৭৩১-এ।
গোয়া: পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তেই গোয়ায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর সুরক্ষার কথা ভেবে গোয়া সরকারের তরফে আগামী ১০ তারিখ অবধি লকডাউন সম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে চারদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করেছিল সরকার। তার মেয়াদ ৩ মে শেষ হয়ে যায়।
সংক্রমণ বাড়তেই গোয়ার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়েছিল। ৩ মে অবধি জারি লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও ১০ মে অবধি লকডাউন সম কড়া নিষেধাজ্ঞাই জারি কা হয়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। রেস্তরাঁগুলিকেও ৫০ শতাংশ অতিথি নিয়ে পরিচালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত টুইট করে বলেন, “এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গোয়ার নাগরিকদের অবস্থা বুঝতে পারছে সরকার। সেই কারণেই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ছাড়া বাকি সমস্ত দোকানে আগামী ১০ মে অবধি অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রেস্তরাঁয় হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রেই চালু থাকবে।”
আলাদাভাবে লকডাউন জারি না করলেও সামাজিক দূরত্ব সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে মিউনিসিপ্য়াল কর্পোরেশনগুলিকে জরুরি পরিষেবা চালুর নির্গদেশ দেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতারা আগামী ১৫ দিনের জন্য সমগ্র গোয়াজুড়ে কড়া লকডাউনের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কোভিড টাস্ক ফের্স গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যে কত কোভিড শয্যা, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ও ভ্যাকসিন কত পরিমাণে রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রমাণ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
বিরোধী নেতা দিগম্বর কামাত জানান, অত্যাশ্যকীয় সামগ্রীর আমদানি-রফতানি ছাড়া বাকি সমগ্রের জন্য রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ রাখা উচিত। পর্যটকদের আগমনও সীমিত করা উচিত এবং আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা উচিত।
রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মখোপাধ্যায় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চিকালাম ও কানসালুমেও অস্থায়ী হাসপাতাল বুধবার থেকে চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
গোয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬ হাজার ৭৩১-এ।
আরও পড়ুন: ‘গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়’, অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যু নিয়ে যোগীরাজ্যকে তুলোধনা আদালতের