Kiren Rijiju: বিচারকদের শূন্যপদ পূরণে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই: কিরেন রিজিজু

Kiren Rijiju in Rajya Sabha: বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর), রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার বিচারক নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

Kiren Rijiju: বিচারকদের শূন্যপদ পূরণে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই: কিরেন রিজিজু
রাজ্যসভায় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 7:47 PM

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর), ফের একবার বিচারক নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিচারক নিয়োগে সরকারের সীমিত ভূমিকা, সংবিধানের চেতনার বিরোধী বলে দাবি করেছেন তিনি। দেশে বহু মামলারই নিষ্পত্তি হয়নি, দীর্ঘদিন ধরে মামলাগুলির শুনানি চলছে। এদিন, এই বিষয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করা হয়েছিল আইনমন্ত্রীকে। আইনমন্ত্রীর দাবি, এত সংখ্যক মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার মূল কারণ পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারকের অভাব। তিনি জানান, গোটা দেশে প্রায় ৫ কোটি মামলার নিষ্পত্তি ঘটেনি। এটা উদ্বেগের।

কিরেন রিজিজু বলেন, “মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু, বিচারকদের শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত সীমিত। কলেজিয়াম নাম বাছাই করে, তাছাড়া, সরকারের বিচারক নিয়োগের কোনও অধিকার নেই।” তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কাছে সরকার বহুবার বলেছে, যাতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের বৈচিত্র প্রতিফলিত হয়। যাতে মহিলাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব থাকে। কিন্তু বিচারক নিয়োগের বর্তমান ব্যবস্থা সংসদ বা ভারতের নাগরিকদের আবেগকে গুরুত্ব দেয় না।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। মনে হতে পারে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। কিন্তু সংবিধানের চেতনা অনুযায়ী বিচারক নিয়োগের অধিকার সরকারের। ১৯৯৩ সালের পর এটা বদলে গিয়েছিল। বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি না বদলালে, বিচারকদের শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না।” ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা বদলানোর চেষ্টা করেছিল। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু, কয়েকমাস পরই এই ব্যবস্থা বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সম্প্রতি একাধিকবার, বিচারক নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এমনকি, রাজ্যসভায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও বিচারক নিয়োগে সরকারের বড় ভূমিকা থাকার কথা বলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট মোটেই মোটেই ভালভাবে নেয়নি এই সব মন্তব্য। আদালত বলেছিল, “প্রকাশ্যে উচ্চপদস্থ সাংবিধানিক কর্তাদের সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক নয়।”