High Court on Aadhaar Card: আধার কার্ড আর বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে গৃহীত হবে না: হাইকোর্ট
High Court on Aadhaar Card: আমেদাবাদের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করতেন আবেদনকারী ব্যক্তি। ২০২১ সালে অবসর নেন তিনি। ৩০ বছর তিনি ওই সংস্থায় কাজ করেছেন। তিনি আদালতে জানান, ১৯৬৩ সালের ২৯ মার্চ চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জন্ম শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রমাণ হিসেবে।
গুজরাট: আধার কার্ডে থাকা জন্ম তারিখ আর জন্ম শংসাপত্র উল্লেখ থাকা তারিখ মিলছে না। ফলে চাকরির সময়কালের সঙ্গে আধার কার্ডের হিসেবও মিলছে না। শুধুমাত্র এই কারণেই পেনশন পাচ্ছিলেন না এক ব্যক্তি। সেই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল গুজরাট হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে পেনশনের অনুমতি পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করেছিলেন। তারপরও পেনশন নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আদালতের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, আধার কার্ড জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হবে না।
গুজরাট হাইকোর্টে বিচারপতি মৌন এ ভাটের বেঞ্চে চলছিল সেই মামলা। আবেদনে জানানো হয়, অনলাইনে পেনশনের জন্য আবেদন করা হলেও, তা মেলেনি। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বার্থ সার্টিফিকেটের তারিখ ও আধার কার্ডের জন্ম তারিখের মধ্যে মিল নেই। ‘লাইভ ল’ (Live Law)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, আধার কার্ডে উল্লেখ করা তারিখ জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয় না। স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট বা দশম শ্রেণির পরীক্ষার সংশাপত্রে উল্লেখ করা বয়স প্রমাণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
আমেদাবাদের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করতেন ওই আবেদনকারী ব্যক্তি। ২০২১ সালে অবসর নেন তিনি। ৩০ বছর তিনি ওই সংস্থায় কাজ করেছেন। তিনি আদালতে জানান, ১৯৬৩ সালের ২৯ মার্চ চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জন্ম শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রমাণ হিসেবে।
কিন্তু ভুল করে সংস্থার রেকর্ডে ওই ব্যক্তির জন্ম তারিখ লেখা হয় ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩। এই তারিখের বিভ্রান্তিতেই আটকে যায় পেনশন। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ইপিএফও কর্তৃপক্ষও সম্প্রতি আধার কার্ডের বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। শ্রম মন্ত্রকের অধীন ইপিএফও সার্কুলারে উল্লেখ করেছে, আধার কার্ড এবার থেকে আর বয়সের প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে না।