Hamid Ansari: ‘মিথ্যা’! পাক গুপ্তচরকে আমন্ত্রণের অভিযোগ কংগ্রেস সরকারের ঘাড়ে ঠেললেন হামিদ আনসারি
Hamid Ansari: পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরাত মির্জার সঙ্গে দেখা হওয়া বা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। বরং সেই দায় তিনি ঠেললেন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের দিকে।
নয়াদিল্লি: তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। বুধবার (১৩ জুলাই) এক লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে, পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জার সঙ্গে দেখা করা বা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করলেন তিনি। বরং, সেই দায় তিনি ঠেললেন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের দিকে। সম্প্রতি, এক পাক ইউটিউব চ্যানেলে সেই দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক নুসরত মির্জা দাবি করেছিলেন, ২০১০ সালে এক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও দাবি করেছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে পাঁচবার তিনি ভারতে এসেছিলেন। বেশ কিছু সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং সেগুলি তুলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর হাতে। সেই দাবি নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক, নিশানায় ছিলেন হামিদ আনসারি। এদিন তারই জবাব দিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি।
হামিদ আনসারি বলেছেন, ‘গতকাল এবং আজ মিডিয়ার বিভিন্ন অংশে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করেছে। বলা হয়েছে, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে নয়াদিল্লিতে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বিষয়ক একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এছাড়া, ইরানে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন আমি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলাম। যার জন্য এক সরকারি সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন।’
Ex-VP & Congress leader Hamid Ansari issues a statement regarding Pak journalist Nusrat Mirza.
"…falsehood unleashed on me in sec of media&by official spox of BJP…known fact that invitation to foreign dignitaries by VP of India is on advice of Govt generally through MEA…" pic.twitter.com/BMX1Ft50IF
— ANI (@ANI) July 13, 2022
তবে, নুসরত মির্জাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইউপিএ সরকারের বিদেশ মন্ত্রক। এমনটাই দাবি করেছেন হামিদ আনসারি। কারণ, উপরাষ্ট্রপতির নাম করে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও, আসলে বিদেশি আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি করে বিদেশ মন্ত্রকই। হামিদ আনসারি বলেছেন, ‘সকলেই জানেন, সাধারণত বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে সরকারের পরামর্শেই ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট বিদেশী ব্যক্তিক্তদের আমন্ত্রণ জানান। আমি ২০১০ সালের ১১ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক একটি সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তার আমন্ত্রিতদের তালিকা আয়োজকরাই ঠিক করেছিলেন। আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানাইনি বা তাঁর সঙ্গে দেখা করিনি।’
ইরানে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে থাকাকালীন জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করার বিষয়ে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-এর এক প্রাক্তন কর্মকর্তার মন্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইরানে রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমার কাজের যাবতীয় তথ্য তৎকালীন সরকারের কাছে ছিল। আমি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এই ধরনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। ভারত সরকারের কাছে এই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য রয়েছে এবং এই বিষয়ে সত্য একমাত্র ভারত সরকারই বলতে পারবে। তবে, এটাও রেকর্ডে আছে যে তেহরানে আমার মেয়াদের পর, আমি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হই এবং সেখানে আমার কাজ দেশে ও বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।’