Haryana CM on MSP: আগুনে ঘৃতাহুতি! এমএসপি নিয়ে আইন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

Haryana CM meeting with PM Modi: মনোহর লাল খট্টর বলেন, "যদি সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য় বা এমএসপি নিয়ে আইন আনে, তবে কেন্দ্রের উপরই সমস্ত ফসল কেনার চাপ সৃষ্টি হবে, যা কখনওই সম্ভব নয়। কেবল হরিয়ানাতেই প্রায় এক ডজন শস্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়।"

Haryana CM on MSP: আগুনে ঘৃতাহুতি! এমএসপি নিয়ে আইন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 2:14 PM

নয়া দিল্লি: কৃষি আইন প্রত্য়াহারের (Farm Laws Repeal) পরও নেভেনি কৃষক আন্দোলনের Farmers Protest) আগুন। এরই মধ্যে সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)র সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানালেন, ফলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিয়ে আইন তৈরি করা সম্ভব নয়, কারণ এতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হবে।

গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্দোলনকারী কৃষকদের কথা মেনে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করেন এবং কৃষকদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন। এদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হলেও এখনই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি,সংসদে আইন প্রত্য়াহারের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া অবধি তারা আন্দোলন চালিয়েই যাবে। একইসঙ্গে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টিও দিতে হবে কেন্দ্রকে।

শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশই হরিয়ানার হওয়ায়, গতকালের ওই বৈঠকে কৃষি আইন নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী খট্টর বলেন, “কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভাল বার্তা দিলেও, সমস্ত শস্য়ের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের পক্ষে নতুন আইন আনা সম্ভব নয়। এতে সরকারের উপর অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি করা হবে।”

মনোহর লাল খট্টর বলেন, “যদি সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য় বা এমএসপি নিয়ে আইন আনে, তবে কেন্দ্রের উপরই সমস্ত ফসল কেনার চাপ সৃষ্টি হবে, যা কখনওই সম্ভব নয়। কেবল হরিয়ানাতেই প্রায় এক ডজন শস্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়।”

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের নিয়ে চিন্তিত। তারা যে এখনও বাড়ি ফিরে যাননি, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন তিনি। আশা করছেন সংসদে আইন প্রত্য়াহারের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরই কৃষকরা বাড়ি ফিরে যাবেন। কৃষি আইন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বায়ুদূষণ, ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো, সাফাই কাজ ও হরিয়ানায় সম্প্রতি লিঙ্গ অনুপাতে যে উন্নতি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকেরা জানিয়েছে, সংসদে আইন প্রত্যাহারের কাজ শেষ না হওয়া অবধি তারা আন্দোলন জারি রাখবে। এছাড়াও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল সহ কৃষকদের যে একাধিক দাবি রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। তবেই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবে। যদিও আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশ ইতিমধ্যেই আগামিদিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাদের কথায়, আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল কৃষি আইন প্রত্যাহার। সেই দাবি পূরণ হওয়ার পরও আন্দোলন চালু রাখার কোনও অর্থ নেই।