Health Ministry: খালি পড়ে আছে যুগ্মসচিবের পদ, করোনা মোকাবিলায় দ্রুত নিয়োগ চেয়ে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

Rajesh Bhushan: কর্মিবর্গ মন্ত্রককে দুই মাস আগেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজেশ ভূষণ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ হয়নি ওই শূন্যপদগুলিতে।

Health Ministry: খালি পড়ে আছে যুগ্মসচিবের পদ, করোনা মোকাবিলায় দ্রুত নিয়োগ চেয়ে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
দেশে কমল সংক্রমণ (ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2021 | 12:39 PM

নয়া দিল্লি : স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের পদ এখনও খালি পড়ে রয়েছে। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে করোনা মোকাবিলায়। আর এই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মনসুখ মাণ্ডব্যর মন্ত্রক এই শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। ভীষণ চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বর্তমান আধিকারিকদের উপর। আর এই নিয়েই এবার কর্মিবর্গ মন্ত্রককে ওই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ।

কর্মিবর্গ মন্ত্রককে দুই মাস আগেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজেশ ভূষণ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ হয়নি ওই শূন্যপদগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে আবার চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।

কর্মিবর্গ মন্ত্রকে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা জানেন যে, করোনার সংক্রমণ এখন কিছুটা কমলেও, আমরা আমাদের দায়িত্ব ত্যাগ করতে পারি না। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে গোটা দেশকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখতে হবে। তিনি আরও লিখেন, একজন যুগ্ম সচিব এবং আটজন সহসচিব/পরিচালকের পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উপর ভীষণভাবে চাপ বাড়ছে। যে শূন্যপদগুলি রয়েছে এবং আগামী দিনে যে পদগুলি শূন্য হবে সেগুলিতে যাতে সঠিক সময়ে নিয়োগ করা হয়, তার জন্য় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

আমজনতা সচেতন না হলে, যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে সবথেকে বেশি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের। এমনটাই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এবার সেই উদ্বেগ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আইসিএমআরের (ICMR) সাম্প্রতিক সেরো সার্ভে। সেরো সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।

দিল্লি এইমের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক চিকিৎসক সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, সম্প্রতি আইসিএমআরের এক সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু কোনও না কোনও সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। প্রতি দশ লাখ করোনা আক্রান্ত শিশুর মধ্যে দুই জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষায়।

এদিকে লোকাল সার্কলস নামে এক অনলাইন পোলিং প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। সোমবার সেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁদের এলাকার লোকেরা ‘ভাল সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলছেন’, বাকি ৯৪ শতাংশের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি সব শিকেয় উঠেছে। অথবা সামান্য কিছু মানুষের মধ্যে তা সীমিত হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন : ICMR Serosurvey: ৬০ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত, চমকে দেওয়া তথ্য আইসিএমআর সেরো সার্ভেতে