Cyclone Mocha: ‘মোখা’র রোষে এলোমেলো হতে পারে আন্দামান, ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে আর কোন কোন রাজ্যে?
Mocha: নৌকাভ্রমণ সহ দ্বীপরাজ্যের অন্যান্য ট্যুরিজম অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও (North East Regions) মোখা-র প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা মৌসম ভবনের।
নয়া দিল্লি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’-র (Cyclone Mocha) আগামী ১৪ মে বাংলাদেশ-মায়ানমার (Bangladesh-Myanmar) উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কিয়াউকিপু-র মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়বে। ফলে মোখা-র প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে খুব একটা না পড়লেও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে (Andaman-Nicobar Islands) বিশেষ প্রভাব পড়বে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে মৌসম ভবন। বৃহস্পতিবার, ১১ মে থেকেই বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবে দ্বীপপুঞ্জে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোখা-র ল্যান্ডফলের প্রাক্কালে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া নৌকাভ্রমণ সহ দ্বীপরাজ্যের অন্যান্য ট্যুরিজম অ্যাক্টিভিটি (Tourism Activities) বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও (North East Regions) মোখা-র প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা মৌসম ভবনের।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোখা-র প্রভাবে আগামিকাল অর্থাৎ ১১ মে থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত সহ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবে এবং শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। তারপর শনিবার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্য, অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে বৃষ্টিপাত শুরু হবে এবং মোখা-র ল্যান্ডফলের দিন, রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
কবে, কোথায়, কেমন বৃষ্টিপাত হবে ?
১১ ও ১২ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ- মোখা-র ল্যান্ডফলের তিনদিন আগে, ১১ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে এবং তার সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওড়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। ১২ মে, শুক্রবার বিক্ষিপ্ত এলাকায় বৃষ্টিপাত চলবে। ১৩ মে, শনিবারও মোখা-র কিছুটা প্রভাব থাকবে। ফলে বৃষ্টিপাত চলবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শনিবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সমুদ্রে নৌকাভ্রমণ সহ দ্বীপরাজ্যের অন্যান্য ট্যুরিজম অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
১৩ মে উত্তর-পূর্বাঞ্চল- মোখা ল্যান্ডফলের প্রাক্কালে শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম. ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও মেঘালয়ে।
১৪ মে উত্তর-পূর্বাঞ্চল- ঘূর্ণিঝড় মোখা ল্যান্ডফলের সময় রবিবার সমগ্র ভারী নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
সবমিলিয়ে বলা যায়, মোখা-র প্রভাব আন্দামান থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পড়লেও বাংলায় বিশেষ কোনও ছাপ পড়বে না। কেবল দাবদাহ কিছুটা কমতে পারে। যদিও অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি রেখেছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ১২ মে পর্যন্ত পূর্ব উপকূলের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। তারপর বাঁক নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে। এরপর ১৪ মে, রবিবার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মায়ানমারের কিয়াউকিপু-র মধ্যবর্তী কোনও জায়গায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখা।