Joshimath Sinking: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাত, খারাপ আবহাওয়াতেই ‘সিদুরে মেঘ’ দেখছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা

Joshimath: এমনিতেই অগুনতি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। বাড়িতে ফাটল ধরায় মাথার উপর থেকে ছাদ হারিয়েছেন তাঁরা।

Joshimath Sinking: ভারী বৃষ্টি-তুষারপাত, খারাপ আবহাওয়াতেই 'সিদুরে মেঘ' দেখছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 10:32 AM

জোশীমঠ: ধ্বংসের মুখে দেবভূমি। ফাটল ধরেছে জোশীমঠের (Joshimath) বাড়ি-রাস্তাঘাটে। হেলে গিয়েছে বড় বড় হোটেল। চরম বিপদের মুখে জোশীমঠের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জোশীমঠকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বিপদের বার্তা শোনা গেল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আবহাওয়া খারাপ হতে চলেছে। আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে জোশীমঠে ফাটল (Cracks) আরও বাড়তে পারে।

এমনিতেই অগুনতি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। বাড়িতে ফাটল ধরায় মাথার উপর থেকে ছাদ হারিয়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফে বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছিল, জোশীমঠের কেবলমাত্র ২৫ শতাংশ বাড়িতে ফাটল ধরেছে। একাধিক বাড়ি ও হোটেলে ফাটল ধরেছে। তবে এখনই ফাটল ধরা বাড়িগুলি ভাঙা হবে না। আপাতত দুটি হোটেলের সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে বিকেলের মধ্য়েই দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ থেকে উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়া খারাপ হতে চলেছে। আজ, ১৩ জানুয়ারি থেকে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত শুরু হবে জোশীমঠে।  ইতিমধ্যেই বদ্রীনাথ-জোশীমঠ হাইওয়ের উপরিভাগে হালকা তুষারপাত শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যদি এই বৃষ্টিপাত জারি থাকে, তবে জোশীমঠের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পাহাড়ে ফাটল বাড়তে পারে। নতুন করে ফাটল থেকে জল বেরনোও শুরু হতে পারে। প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে, তাও ব্যাহত হতে পারে। বর্তমানে প্রশাসনের তরফে হোটেল ভাঙার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রঞ্জিৎ কুমার সিনহা জানান, যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তবে উদ্ধারকাজের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ও রাজ্য সরকারের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই-এ রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে এসডিআরএফের আটটি দল জোশীমঠে পাঠানো হয়েছে। এনডিআরএফের তরফেও দুটি দল পাঠানো হয়েছে।