Hemant Soren: আজ বিকেলেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে হেমন্ত সোরেন
Hemant Soren: আজই, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারই (৪ জুন) ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বিকেল পাঁচটায় রাজ্যের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) প্রধান। এদিন, রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
রাঁচি: আজই, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারই (৪ জুন) ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বিকেল পাঁচটায় রাজ্যের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) প্রধান। এদিন, রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এক জমি কেলেঙ্কারির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে, প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের দ্বাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। বুধবার তিনি পদত্যাগ করে হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। তারপরই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন জেএমএম প্রধান।
৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল। তার কিছুক্ষণ আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এক জমি কেলেঙ্কারি মামলায় তিনি যুক্ত আছেন অভিযোগ করে, তাঁর বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছিল ইডি। তবে, ২৮ জুন তাকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। বিচারপতি রঙ্গন মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ বলেছিল, অভিযুক্ত হেমন্ত সোরেন পিএমএলএ-র ধারা ৪৫-এর অধীনে প্রয়োজনীয় শর্তগুলি পূরণ করে না। এরপরই তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবার, রাজ্যে জেএমএমের নেতৃত্বাধীন জোটের বিধায়করা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচিত করেছিল। এদিকে, সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্ত সোরেনকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
লোকসভা নির্বাচনের পর, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সব পক্ষেরই শক্তির অদলবদল ঘটেছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটের শক্তি কমে হয়েছে ৪৫। এর মধ্যে জেএমএম-এর ২৭ জন, কংগ্রেসের ১৭ জন এবং আরজেডি-র ১ জন বিধায়ক আছেন। দুই জেএমএম বিধায়ক, নলিন সোরেন এবং জোবা মাঝি লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। আরেক বিধায়ক, সীতা সোরেন, বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইস্তফা দিয়েছিলেন। আরও দুই বিধায়ক, চামরা লিন্ডা এবং লবিন হেমব্রমকে বহিষ্কার করেছে জেএমএম। বিজেপির শক্তিও ২৪-এ নেমে এসেছে। তাঁদের দুই বিধায়ক, ধুলু মাহাতো এবং মণীশ জয়সওয়ালও সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। জয়প্রকাশ ভাই প্যাটেল লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। তাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।