Indigenous rifle Ugram: পাঁচ ফুটবল মাঠ ছাপিয়ে ছুটবে গুলি, ১০০ দিনে তৈরি হল দেশি রাইফেল ‘উগ্রম’
Indigenous rifle Ugram developed by DRDO: সম্পূর্ণ দেশিয়ভাবে নকশা করা এবং দেশিয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই রাইফেলটি। অর্থাৎ, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে ভারতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল এই রাইফেল। আর, এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০০ দিন।
হায়দরাবাদ: একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ভারতীয় সেনার শক্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ‘ডিআরডিও’। এবার সেই এই সংস্থাররই শাখা সংস্থা, ‘আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট’ বা ‘এআরডিই’ তৈরি করল এক নয়া রাইফেল। এর নাম ‘উগ্রম’। সম্পূর্ণ দেশিয়ভাবে নকশা করা এবং দেশিয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই রাইফেলটি। অর্থাৎ, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে ভারতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল এই রাইফেল। আর, এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে মাত্র ১০০ দিন। রাইফেলটি তৈরিতে এআরডিই-কে সাহায্য করেছে ‘দ্বীপ আর্মার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে, হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা।
বর্তমানে ভারতে আধাসামরিক বাহিনী সহ সকল সশস্ত্র বাহিনীই ‘ইনসাস’ রাইফেল ব্যবহার করে। ইনসাসে ৫.৬২ মিলিমিটার ক্যালিবারের গুলি ব্যবহার করা হয়। তবে, উগ্রম রাইফেলে ৭.৬২ মিলিমিটার ক্যালিবারের গুলি লাগবে। ফলে, ইনসাস রাইফেলের তুলনায় এক শক্তি আরও বেশি। সামরিক, আধাসামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই রাইফেলটি তৈরি করা হয়েছে। চার কেজি ওজনের রাইফেলটির পাল্লা ৫০০ মিটার বা প্রায় পাঁচটি ফুটবল মাঠের সমান। অর্থাৎ, ৫০০ মিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা যাবে। রাইফেলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও চালানো যাবে। আবার একেরবারে একটি করেই গুলি বের হবে, এমনভাবেও ব্যবহার করা যাবে। আর এর ম্যাগাজিনে থাকবে ২০টি করে গুলি।
Here are some more photos of the Ugram 7.62x51mm assault rifle. https://t.co/eMkKOcIedW pic.twitter.com/cQJWINNfvO
— Victorforce (@Victorforce2) January 9, 2024
এআরডিই-র ডিরেক্টর অঙ্কাথি রাজু জানিয়েছেন, দুই বছর আগে এই রাইফেল তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। সংস্থার গবেষকরা রাইফেলটির নকশা করেছিলেন। তারপর, সেই নকশা মেনে বন্দুকটি তৈরি এবং গণহারে উৎপাদনের জন্য হায়দরাবাদের দ্বীপা আর্মার-এর সঙ্গে হাত মেলায় এআরডিই। নকশা করা এবং নকশাগুলির বিশ্লেষণ দুই বছর আগেই শুরু হলেও, দ্বীপা আর্মারের সহযোগিতায় রাইফেলটি তৈরি করা হয়েছে ১০০ দিনের মধ্যেই। অবশ্য রাইফেলটির ট্রায়াল এখনও বাকি। কঠোর শীত, প্রখড় তাপ এবং জলের নীচে বন্দুকটি কেমন চলে, তার ক্ষমতা পরীক্ষা জন্য পরীক্ষা করা হবে। সেই সব পরীক্ষায় পাশ করলে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যদি সবুজ সঙ্কেত দেয়, তাহলে আগামী দিনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলির সদস্যদের হাতে হাতে দেখা যাবে দেশিয় বন্দুক, উগ্রম।