নির্বাচনের পর ফের এনআরসি! ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

গতবছর অসমে তৈরি নাগিকপঞ্জি থেকে ১৯ লাখ আবেদনকারীর নাম বাদ পড়ে, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল হিন্দু। বর্তমানে রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতে সীমান্ত অঞ্চলের ২০ শতাংশ ও অন্যান্য স্থানের ১০ শতাংশ নাম পুনর্যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছে।

 নির্বাচনের পর ফের এনআরসি! ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 1:49 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আগামী বছর নির্বাচনের পরে ফের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (National Register of Citizens)তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করলেন অসমের প্রবীণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা(Himanta Biswa Sharma)। তিনি বৃহস্পতিবার জানান, গত বছরের অগস্ট মাসে প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জি “মৌলিকভাবে ভুল”। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অনুমতি দিলে আগামী বছর নির্বাচনের পরই নতুনভাবে তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে।

অসমে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সরাসরি কোনও কথা না বললেও তিনি “আধুনিক মোগল” বলে তকমা দেন তাঁদের। শর্মা বলেন,”অসম থেকে আধুনিক মোগলদের তাড়াতে দীর্ঘ যুদ্ধ করতে হবে। যদি আমরা আরও পাঁচ বছর লড়াই চালাতে পারি, তবে তাদের হারানো যাবে। এই লড়াইয়ের জন্য সীমানা বেঁধে দেওয়া ও নাগরিকপঞ্জি প্রয়োজনীয় ছিল।”

রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গতবছরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি রাজ্য সমন্বায়ক প্রতীক হাজেলাকে মধ্য প্রদেশে বদলি করে দেওয়া হয়। ত্রুটিপূর্ণ নাগরিকপঞ্জির জন্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও প্রতীককেই দায়ী করেন। তিনি বলেন,”সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকপঞ্জির বিষয়টি পর্যালোচনা করলেও প্রতীক হাজেলা বিষয়টিকে এমনভাবে হেরফের করে পরিচালিত করেছে যে চোরকেই পুলিস বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌলিকভাবে ভুল একটি নাগরিকপঞ্জি তৈরি করেছেন তিনি। যদি সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দেয়, নির্বাচনের পর নতুন করে এনআরসি করা হবে। ইতিমধ্যেই আমরা তালিকাভুক্ত নামগুলি যাচাইয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চেয়েছি।”

গতবছর জুলাই মাসেও রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার এনআরসি (NRC List)তালিকা পুনর্যাচাইয়ের আবেদন করে কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেয়। প্রতীক হাজেলা বদলির আগেই ২৭ শতাংশ নামের পুনর্যাচাই করা হয়ে গিয়েছে বলেই জানায়। তবে শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা তালিকা পুনর্বিবেচনার দাবিই এখনও বজায় রেখেছেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালের একটি নির্দেশে নমুনা পুনর্যাচাইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে। সেখানে বলা হয়, আদালত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় খসড়ার ১০ শতাংশ নাম পুনর্যাচাই করতে পারে।

গতবছর অসমে তৈরি নাগিকপঞ্জি থেকে ১৯ লাখ আবেদনকারীর নাম বাদ পড়ে, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল হিন্দু। বর্তমানে রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতে সীমান্ত অঞ্চলের ২০ শতাংশ ও অন্যান্য স্থানের ১০ শতাংশ নাম পুনর্যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছে।