দিল্লি ঘেরাওয়ের হুমকি কৃষকদের, মাঝরাতে বৈঠকে অমিত শাহ-রাজনাথ সিং..?
আন্দোলনরত কৃষকেরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত শর্ত নয়, সরকারের উচিত খোলা মনে আলোচনায় বসা। এক আন্দোলনকারী বলেন,"আমরা কখনওই বুরারি পার্কে যাব না। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে ওটা মুক্ত কারাগার। আমরা ঠিক করেছি দিল্লিতে ঢোকার প্রধান পাঁচটি রাস্তা আটকে দিল্লি ঘেরাও অভিযান চালাব।"
TV9 বাংলা ডিজিটাল: কৃষক আন্দোলন (Farmers protest) ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। একদিকে কৃষকদের আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণ, অন্যদিকে কৃষকদের দিল্লি ঘেরাওয়ের হুমকি-সব মিলিয়ে কার্যত একঘরে কেন্দ্রীয় সরকার । আগামী ৩ ডিসেম্বরে আলোচনার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনরত কৃষকেরা।
কৃষকরা আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দিল্লি ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডা(J P Nadda)-র দিল্লির বাসস্থানে গভীর রাতে আলোচনায় বসেন। প্রায় দুঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। শনিবার অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সরকার প্রতিটি সমস্যা ও দাবি মেটানোর জন্য আলোচনায় রাজি। আগামী ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। তবে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত, আন্দোলনকারী কৃষকদের আন্দোলনস্থল থেকে সরে সরকারের নির্ধারিত বুরারি পার্কে (Burari Park) আন্দোলন স্থানান্তরিত করতে হবে। যদিও সরকারের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে কৃষকেরা।
রবিবার বৈঠকের পর আন্দোলনরত কৃষকেরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত শর্ত নয়, সরকারের উচিত খোলা মনে আলোচনায় বসা। এক আন্দোলনকারী বলেন,”আমরা কখনওই বুরারি পার্কে যাব না। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে ওটা মুক্ত কারাগার। দিল্লি পুলিস ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে জন্তর মন্তরে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বুরারি পার্কে নিয়ে গিয়ে আটক করে রেখেছে। আমরা ঠিক করেছি দিল্লিতে ঢোকার প্রধান পাঁচটি রাস্তা আটকে দিল্লি ঘেরাও অভিযান চালাব।” দিল্লিতে ঢোকার পাঁচটি পথ, অর্থাৎ রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর ও মথুরা সীমান্ত আটকে প্রতিবাদ প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হরিয়ানার সীমান্ত আগে থেকেই বন্ধ থাকায় দিল্লি পুলিস দিল্লিগামী যানবাহনগুলিকে অন্য রুট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের আগে একটি শহরের মৃত্যুর গল্প! আজও শিউরে ওঠে দেশবাসী
কৃষক আন্দেলনে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর বিবাদ। গতকাল রাতে সরকারী বৈঠকে অমরিন্দর সিং ও মনোহর লাল খট্টরের বিপরীত অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর রেডিয়ো অনুষ্ঠান মন কি বাত-এ জানান,কৃষিক্ষেত্রে কেন্দ্রের পরিবর্তন কৃষকদের আরও নতুন সুযোগের পথ খুলে দিয়েছে এবং তাদের দীর্ঘসময়ের চাহিদা পূরণ করেছে।
সরকারের তরফ থেকে নতুন কৃষি বিলকে কৃষক হীতকারী বলে দাবী করা হলেও কৃষকরা বিগত তিন মাস ধরেই এই কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দোলন করছে। দিল্লি চলো আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকেরা জড়ো হয়েছেন। দিল্লির আগেই বিভিন্ন সীমান্তে তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং আন্দোলন পণ্ড করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহারও করা হয়।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে পুলিসকে ধন্যবাদ মনোহর লাল খট্টরের..