Amit Shah: নাগাল্যান্ডে ১৪ গ্রামবাসীর মৃত্যু, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ
Nagaland: নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সীমান্তবর্তী তিরু গ্রামে অনুপ্রবেশ রুখতে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অভিযান চালায়। আর সেই অভিযান চলাকালীনই ১৪ জন নিরপরাধ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার নিন্দায় সরব সব মহল।
নয়া দিল্লি : নাগাল্যান্ডে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ। সেই আঁচ ছড়িয়েছে সংসদেও। আজ সেই ইস্যুতেই বিবৃতি দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগেই তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এবার স্বত:প্রণোদিত বিবৃতি দেবেন তিনি। আজ বিকেল ৩ টেয় লোকসভায় ও বিকেল ৪ টেয় রাজ্যসভায় বিবৃতি দেবেন শাহ।
গতকাল গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি টুইট করে ওই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে তদন্ত করবে। বিচার পাবে মৃতদের পরিবার।
সোমবার শুরু থেকেই নাগাল্যান্ড ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিয়ে সংসদ। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল। নাগাল্যান্ডে কেন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনই সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া উচিত। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরকারের বিবৃতির দাবি জানান। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আশ্বস্ত করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছেন সোমবারই বিবৃতি দেবেন। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভা।
এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও। গতকালই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মন জেলার ওটিং-এ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সিট গঠন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে, আইন মেনে বিচার হবে। প্রত্যেকের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।’ এরপরই সিট গঠন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এফআইআর হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। এফআইআরে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কোনও পুলিশ উপস্থিত ছিল না। কোনও পুলিশের উপস্থিতির জন্য কোনও থানায় আবেদনও জানায়নি আধা সামরিক বাহিনী। তাই এটা স্পষ্ট যে সাধারণ মানুষকে হত্যা করাই বা আক্রমণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
ঠিক কী হয়েছিল? এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ৩ টেয় ওটিং গ্রামের কয়লা খনির শ্রমিকেরা তিরু থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিল। বোলেরো পিক আপ গাড়িতে ফিরছিল তারা। আফার তিরু ও ওটিং গ্রামের মধ্যবর্তী লংখাও এলাকায় গাড়িটি পৌঁছনোর পরই গুলি চালাতে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। আর তাতেই একাধিক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে সেনার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। সেনার দাবি, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশ রুখতে মন জেলার তিরু এলাকায় অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আপাতত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বিবৃতি দেন, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: Nagaland Firing: আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে FIR, ‘খুনের উদ্দেশ্যেই গুলি’, বলছে পুলিশ