CJI Chandrachud: আইনি দক্ষতা বাড়াতে ৬৬ সালের অ্যাম্বাস্যাডর গাড়ি ব্যবহার করতেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, কীভাবে জানেন?

CJI DY Chandrachud and Ambassador car: তরুণ আইনজীবী হিসেবে একটি ১৯৬৬ সালের মডেলের অ্যাম্বাস্যাডার গাড়ি চালাতেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কীভাবে গাড়িটিকে তিনি তাঁর আইনি দক্ষতা বাড়াতে কাজে লাগিয়েছিলেন জানেন?

CJI Chandrachud: আইনি দক্ষতা বাড়াতে ৬৬ সালের অ্যাম্বাস্যাডর গাড়ি ব্যবহার করতেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, কীভাবে জানেন?
একটি ১৯৬৬ সালের মডেলের অ্যাম্বাস্যাডার গাড়ি চালাতেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2022 | 9:27 AM

নয়া দিল্লি: তরুণ আইনজীবী হিসেবে একটি ১৯৬৬ সালের মডেলের অ্যাম্বাস্যাডার গাড়ি চালাতেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সোমবার (১৫ নভেম্বর), সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নয়া প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানেই আইনের জগতে তাঁর প্রথম দিনগুলির স্মৃতিচারণ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, ওই অ্যাম্বাস্যাডার গাড়িটিকে তিনি তাঁর আইনি দক্ষতা বাড়াতে কাজে লাগিয়েছিলেন।

প্রধন বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি ১৯৬৬ সালের অ্যাম্বাস্যাডার চালাতাম। আমার সিনিয়রদের সেই গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময়, আমি দীর্ঘতম পথগুলি ধরতাম। যাতে, সিনিয়রদের এবং তাদের দেওয়া যুক্তিগুলি থেকে আরও বেশি করে শিখতে পারি।” একজন তরুণ আইনজীবী হিসেবে বারে তাঁর আরও বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, “শ্রী প্রবীণ পারেখ আমাকে একটি জমি অধিগ্রহণের মামলা দিয়েছিলেন। মামলাটি বিচারপতি ঠক্করের এজলাসে নথিভুক্ত ছিল। তাঁর সামনে হাজির হওয়ার জন্য আমাকে না ঘুমিয়ে ওই মামলার জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এটা একটা রিপোর্টেড জাজমেন্ট হয়েছিল। আমাকে সিনিয়র আইনজীবী ফলি নরিমানের সঙ্গে একটি মামলার বিষয়ে জানানো হয়েছিল। মামলাটি ছিল তিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে। আমি বেঞ্চকে কিছু বলতে চেয়েছিলাম। বেঞ্চ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল চুপ করে থাকতে এবং বিচারকরা কী বলছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে। আমি নিয়মিত সিনিয়র আইনজীবী পরাশরণের সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতাম।”

‘মহান ভারতীয় বার’-এর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি নিজেকে ‘বার থেকে বেরিয়ে আসা স্রোত মাত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আজ যেখানে আছি, বেঞ্চ এবং বারের মহানদের কাছ থেকে শিখেই সেখানে পৌঁছেছি। বিচারপতি সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় একবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার বিষয় উল্লেখ করার সময় বলেছিলেন, ‘বুদ্ধিমানদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন’। তারপর তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি হন। স্রোত কি কখনও উৎসের উপরে উঠতে পারে? আমি শুধু মহান ভারতীয় বার থেকে বেরিয়ে আসা একটি স্রোত মাত্র।”