AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hyderabad: সস্তায় গরীবের বাচ্চা কিনে বিক্রি হত লক্ষ-লক্ষ টাকায়!

Hyderabad: দিল্লি-পুনের দরিদ্র ও গৃহহীন পরিবারগুলি থেকে সস্তায় কিনত শিশু। তারপর, সেই শিশুদের তেলঙ্গানা-অন্ধ্র প্রদেশের নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করা হত। দাম পাওয়া যেত, ১.৮ লক্ষ টাকা থেকে ৫.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। এক আন্তঃরাজ্য শিশু পাচার গ্যাংকে পাকড়াও করল তেলঙ্গানার রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনারেট।

Hyderabad: সস্তায় গরীবের বাচ্চা কিনে বিক্রি হত লক্ষ-লক্ষ টাকায়!
উদ্ধার কর এক শিশুকে নিয়ে তেলঙ্গানার রাচাকোন্ডা কমিশনারেটের পুলিশ Image Credit: Twitter
| Updated on: May 28, 2024 | 9:28 PM
Share

হায়দরাবাদ: দিল্লি-পুনের দরিদ্র ও গৃহহীন পরিবারগুলি থেকে সস্তায় কিনত শিশু। তারপর, সেই শিশুদের তেলঙ্গানা-অন্ধ্র প্রদেশের নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করা হত। দাম পাওয়া যেত, ১.৮ লক্ষ টাকা থেকে ৫.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। এক আন্তঃরাজ্য শিশু পাচার গ্যাংকে পাকড়াও করল তেলঙ্গানার রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনারেট। তাদের কাছ থেকে ১৬টি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও আটজনকে খুঁজছে পুলিশ।

রাচাকোন্ডার পুলিশ কমিশনার, ড. তরুণ যোশি জানিয়েছেন, এই গ্যাংয়ের বিষয়ে তাদের কাছে প্রথম অভিযোগ এসেছিল ২২ মে। হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে মেডিপলি থানা এলাকার এক ব্যক্তি, একটি শিশুকন্যাকে ‘বিক্রি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়েই দ্রুত কাজে নেমেছিল পুলিশ। ওই ঘটনায়, শোভা রানী এবং এম স্বপ্না নামে দুই মহিলা এবং শাইক সেলিম নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

তখনও পর্যন্ত পুলিশ ভেবেছিল, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে, ওই তিনজনকে জেরা করেই, শিশু ‘বিক্রি’র এই দলটার সন্ধান পায় পুলিশ। জানা য়ায়, নয়াদিল্লি ও পুনেতেও তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ আরও জানতে পারে, এই চক্রটি চালায় বন্দারি হরিহার চেতন নামে বছর ৩৪-এর এক ব্যক্তি। সে, হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে ঘটকেসারে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করে। পাশাপাশি এই শিশু পাচার ও বিক্রি চক্র চালাত।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নয়া দিল্লি এবং পুনে থেকে প্রায় ৫০টি শিশু কিনেছিল গ্যাংটি। একেকটি শিশু বিক্রি করে, এজেন্ট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের টাকা মিটিয়ে, গ্যাং সদস্যরা ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করত। ১১টি শিশুকে উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রথমে এখনও বিক্রি হয়নি এমন দুটি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপরে যে দম্পতিরা শিশুগুলিকে কিনেছিল, তাদের কাছ থেকে আরও নয়টি শিশু উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, প্রায় দুই বছর ধরে এই কাজ করে আসছিল গ্যাংটি।

ধরা যাতে না পড়ে, তার জন্য অনেক সতর্কতা অবলম্বন করত তারা। দুই-তিনজনের ছোট ছোট দল গড়ে কাজ করত তারা। গ্যাংয়ের সদস্যরা একে অপরের পরিচয় জানত না। কল রেকর্ড ব্যবহার করে, পুলিশ গ্যাংয়ের আট সদস্যকে সনাক্ত করেছে। এই দলের থেকে তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের আর কোন কোন পরিবার শিশু কিনেছিল, তার খোঁজ করছে পুলিশ। বাচ্চাগুলিকে যারা কিনেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করছে পুলিশ।