School Reopening: ‘নিউ নর্মালে’ কেমন হবে স্কুলের পাঠ? রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের উদাহরণ দিল ICMR

ICMR: স্কুল খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইসিএমআরের তরফে।

School Reopening: 'নিউ নর্মালে' কেমন হবে স্কুলের পাঠ? রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের উদাহরণ দিল ICMR
১৮ মাস পরে খুলল স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 1:53 PM

নয়া দিল্লি: প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা চলছে ঠিকই, তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু পড়ুয়া। বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে সেই তথ্য। তাই এবার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই স্কুল খোলার (School Re Opening) সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। তবে স্কুল খুললে যাতে বিপদ না বাড়ে, সে কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। তাই স্কুল খোলার ক্ষেত্রে কী কী করা উচিৎ, সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আইসিএমআর (ICMR)-এর সদস্যরা।

আইসিএমআরের জার্নালে ‘ইউনেসকো’র একটি রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ৫০০ দিনে ভারতে অন্তত ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ পড়ুয়ার। আইসিএমআর বলছে, দ্রুত স্কুল খোলা জরুরি। তবে, স্কুল চালু করার জন্য রাজ্য ও জেলাস্তরের সব তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্টে শান্তিনিকেতনের উল্লেখ করেছে আইসিএমআর। শান্তিনিকেতনে মুক্ত আকাশে নীচে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই উদাহরণ টেনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘করোনা আমাদের নতুন পড়াশোনার নতুন নতুন পদ্ধতি নিতে বাধ্য করেছে, বিশেষত প্রকৃতির কোলে পড়াশোনা করার পথে এগিয়ে দিয়েছে।’

আইসিএমআরের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধুমাত্র রুটিন তাপমাত্রা পরীক্ষা করা না করে করোনা পরীক্ষা করা উচিৎ। টেস্ট করে তবেই শিশুদের জন্য প্রাইমারি স্কুলের দরজা খোলা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। গত ১৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব প্রাইমারি স্কুল। গবেষণা করে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা চেক আপ করা আর করনা পরীক্ষা করা এক জিনিস নয়। তবে বারবার স্ক্রিনিং এ সংক্রমণের ক্লাস্টারের মাত্রা কমানো যায় বলে মনে করেন অনেকেই। গবেষকদের মতে, অনুযায়ী বারবার স্কুলের শিক্ষিকা, শিক্ষক সহ পড়ুয়াদের তাপমাত্রা মাপা থেকে অনেকাংশে ভালো বিষয় হল কোভিড টেস্ট করে নেওয়া। কোনও মতেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে না দিয়ে কীভাবে স্কুল খোলা যায়, তা নিয়ে মূলত কোভিড টেস্টের উপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা বলছে, কম বয়সি শিশুরা যেহেতু করোনায় কম আক্রান্ত হয়, তাই তাদের থেকে স্কুলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি থাকে শিশুদেরই। অনেক ক্ষেত্রেই সেরো সার্ভেতে শিশুদের উপসর্গহীনতার কথা উঠে এসেছে। ইউনেসকোর মতে স্কুলের দরজা বন্ধ হওয়াতে বহু লক্ষ শিশুর পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Taliban: নিছক সন্দেহের বশে শিশুকেও রেয়াত করল না তালিবান, রক্তাক্ত দেহ ঘিরে কান্নার রোল পঞ্জশীরে 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। ৬ থেকে ১১ বছর বয়সিরা চাইলে মাস্ক পরতে পারে। তবে ১২ বছরের বেশি বয়সিদের প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে। স্কুলগুলিতে যাতে এসি না থাকে ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা থাকে, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Covid 19 Cases in India: ফিরছে স্বস্তি! প্রায় ৭ মাস পর দৈনিক সংক্রমণ নামল ২০ হাজারের নীচে