‘কেরামতি বালব’ কিনে ৯ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী
এ বালব শুধু আলো নয়, বাড়িতেও লক্ষ্মীও আনে। অর্থাৎ, ধন-মান-যশ। এক এলে বাকি ফ্রি। এমন বালব হাতে পেয়ে আর দেরি করেননি উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ী নীতীশ মালহোত্রা। ৯লক্ষ টাকা নগদ মূল্যে তৎক্ষণাৎ কিনে নিয়েছেন বালবটি।
বরেলী: একটি সাধারণ বালব। হাতে নিয়ে দেখলে অন্য বালবের থেকে কোনও পার্থক্য বোঝা যায় না। কিন্তু, এ বালব নাকি অন্যদের চেয়ে আলাদা। খাসা নাম ‘কেরামতি বালব’(Keramati bulb)। কারণ, এ বালব শুধু আলো নয়, বাড়িতেও লক্ষ্মীও আনে। অর্থাৎ, ধন-মান-যশ। এক এলে বাকি ফ্রি। এমন বালব হাতে পেয়ে আর দেরি করেননি উত্তর প্রদেশের(Utter Pradesh) ব্যবসায়ী নীতীশ মালহোত্রা। ৯লক্ষ টাকা নগদ মূল্যে তৎক্ষণাৎ কিনে নিয়েছেন বালবটি। কিন্তু, তারপরেই ভুল ভেঙেছে। বালব কিনে টাকাও আসেনি, উন্নতিও হয়নি। মাথায় হাত নীতীশের।
বালবের সত্যতা বুঝতে পেরেই তৎক্ষণাৎ বরেলী(Bairelly) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। চুখৎ খান, মাসুম খান ও ইরফান খান নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বোকা বানিয়ে টাকা কুক্ষিগত করার অভিযোগ করেছেন নীতীশ। গোটা ঘটনায় হতবাক পুলিসও। পুলিস সূত্রের খবর, চুরি-ছিনতাই-রাহাজানির জন্য ইরফান পুলিসি খাতার পরিচিত মুখ। এদের চোরাই কারবারির দলটি খেড়ির নিশান এলাকার অন্তর্গত। খুব শিগগিরই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশের(Utter Pradesh) খান নগর এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’(Aladdin ka Chirag) কিনে বোকা বনেছিলেন বিলেতফেরত এক চিকিৎসক। সেই ঘটনারই প্রায় পুনরাবৃত্তি। স্থান একই। কাল ও পাত্র আলাদা। লকডাউনে ব্যবসার বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। চটজলদি হাতে টাকা পেতে ‘কেরামতি বালব’(Keramati Bulb)-এর কেরামতির ফাঁদে পা দিয়েছিলেন নীতীশ। মানুষের অসতর্কতার সুবিধাই নেয় এই দুষ্কৃতী দলগুলি। মানুষকেই সাবধান হতে হবে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।