I-Day celebration: হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত অন্তত ৫৪, নিঃশব্দে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Himachal Pradesh: রাজ্য সরকার আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পুলিশ ও SDRF-এর কর্মীরা থাকবেন না। তাঁরা উদ্ধারকাজে নিয়োজিত থাকবেন বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
সিমলা: গত দু-দিনের মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) মিলিয়ে অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সিমলার (Shimla) আস্ত একটি শিব মন্দির। সেই মন্দির চাপা পড়ে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। এই পরিস্থিতিতে খানিক ম্লান হয়ে গিয়েছে দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এবছর রাজ্যে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান নিঃশব্দে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Himachal CM) সুখবিন্দর সিং সুখু।
হিমাচল প্রদেশ সরকারের তরফে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সাধারণত মানালিতে আয়োজিত করা হত। এবছর সেই অনুষ্ঠান সিমলায় স্থানান্তরিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সিমলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতিত্ব করবেন এবং মানালিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানও নীরবে পালন করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ কেবল পতাকা উত্তোলন করে প্যারেড হবে এবং বিশিষ্ট অতিথিরা বক্তৃতা দেবেন। আর কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। সিমলা-সহ গোটা রাজ্যে এভাবেই এবছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিমলার। এখানেই তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে একটি শিব মন্দির। আর সেই মন্দির চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা সকলেই শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে ওই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে, পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। তাই এদিন রাজ্য সরকার আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পুলিশ ও SDRF-এর কর্মীরা থাকবেন না। তাঁরা উদ্ধারকাজে নিয়োজিত থাকবেন বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডেও দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকায় আজও উদ্ধারকাজ চলছে। বন্ধ বহু রাস্তা। ঝুঁকি এড়াতে স্থগিত করা হয়েছে চারধাম যাত্রাও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও লালকেল্লায় তেরঙা উত্তোলনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রথমেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা তুলে ধরে শোকপ্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন।