Ladakh Conflict : ‘এই জমি আমাদের’, ভারতীয় পশুপালকদের বাধা চিনের, বৈঠকে সমাধানসূত্র খুঁজল দুই দেশ
Ladakh Conflict : ডেমচোকে সিএনএন জংশনে 'স্যাডল পাস' এর কাছে গিয়েছিলেন ভারতীয় পশুপালকরা। সেই ভূখণ্ড চিনের দাবি করে তাঁদের বাধা দেয় পিএলএ সেনা।
ভারত-চিনের মধ্যে বিবাদ নিষ্পত্তি হওয়ার কোনও ইয়ত্তা নেই। এই আবহে উল্টে একটার পর একটা নতুন ইস্যু যোগ হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের কাছে ডেমচক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় পশুপালকদের যেতে বাধা দিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ অগস্ট। এরপরই দুই দেশের সেনা বৈঠকে বসেছে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেমচোকে সিএনএন জংশনে ‘স্যাডল পাস’ এর কাছে গিয়েছিলেন ভারতীয় পশুপালকরা। সেই এলাকাকে ভারতীয় ভূখণ্ডের বলে দাবি করে তারা। সেই কারণ দেখিয়ে তারা ভারতীয় সেনাদের বাধাও দেয়। তবে এই ঘটনায় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরই সমাধান সূত্র বের করার জন্য ভারতীয় সেনা কমান্ডাররা চিনা সেনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিলে তার খুব কাছাকাছি জায়গায় পশুপালকদের বাধা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে অবগত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘দুই তরফেরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিষয়ে ভিন্ন ধারণার কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে শুরু হয়েছে এই বিবাদের। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকার কাছে সংঘর্ষে জড়ায় লাল ফৌজ ও ভারতীয় সেনা। সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। পিপলস লিবারেশন আর্মির ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সেই থেকেই বিবাদ জারি রয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর আর বড় কোনও সংঘর্ষে না জড়ায়নি। তবে একাধিক সেনা-কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এই আবহে চিনের কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাতে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। চিনও গোপনে সামরিক স্তরে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেই যাচ্ছে। তবে চিনের সঙ্গে যুঝে ওঠার জন্য ভারত অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রও বাড়িয়েছে।