অধীরের চিঠিতেই কাজ? চিনে আটকা ভারতীয় নাবিক উদ্ধারে ‘হঠাৎ’ উদ্যোগী কেন্দ্র

বৃহস্পতিবারই আটকে থাকা নাবিকদের দেশে ফেরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

অধীরের চিঠিতেই কাজ? চিনে আটকা ভারতীয় নাবিক উদ্ধারে 'হঠাৎ' উদ্যোগী কেন্দ্র
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 01, 2021 | 7:37 PM

নয়া দিল্লি: ১৪৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে চিনে (China) আটকে ভারতের দু’টি জাহাজ। সেখানে সঙ্কটের মুখে নাবিক-সহ ৩৯ জন কর্মী। এবার তাঁদের সাহায্যার্থে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, দ্রুত সমাধানের জন্য চিনে ভারতীয় দূতাবাস ও বিদেশমন্ত্রক চিনের সঙ্গে কথা বলছে। শ্রীবাস্তব এ-ও জানিয়েছেন, বেজিংয়ও দ্রুত নাবিকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবারই আটকে থাকা নাবিকদের দেশে ফেরানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তারপরই শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস জারি করে। যেখানে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট উল্লেখ করে নাবিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই নোটিস মানবাধিকার কমিশনের তরফে পাঠানো হয় বিদেশমন্ত্রকেও সচিব ও জাহাজমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা নিয়ে ফেরার সময় ১৩ জুন জিংট্যাং বন্দরে নোঙর করেছিল এমভি অনস্তেশিয়া।জাহাজ এমভি জগ আনন্দ নোঙর নামিয়েছিল কাওফেইডিয়ান বন্দরে। দুটি জাহাজে মোট ৩৯ জন ভারতীয় রয়েছেন। কিন্তু জাহাজ বন্দরে দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে থাকলেও পণ্য খালাসের অনুমোদন দিচ্ছে না বেজিং। যার ফলে ওষুধ ও খাদ্যের অভাবে পড়েছেন জাহাজের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: আপের তোপ! ‘মিলান থেকে ফিরেছেন?’ প্রশ্ন রাহুলকে

বেজিংয়ের অবশ্য দাবি, করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধের জন্যই পণ্য খালাসের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি অবশ্য আলাদা, তাঁদের মতে চিন ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য যুদ্ধ ও লাদাখ সংঘাতের কথা মাথায় রেখে ইচ্ছে করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। তবে শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব অবশ্য আশ্বাস দেন, ঘটনার সূত্রপাতের পর থেকেই চিনে নাবিকদের সাহায্যের জন্য কথা বলছে বিদেশমন্ত্রক। অনুরাগ এ-ও জানান, খুব তাড়াতাড়িই এমভি অনস্তেশিয়া জাহাজে কর্মচারীদের পরিবর্তন হবে যার ফলে সঙ্কটমুক্ত হবেন ভারতীয় কর্মীরা।