Qatar: কাতারে মৃত্যুদণ্ড-প্রাপ্ত নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্তার সাজা মকুবের আবেদন ভারতের
Qatar: ২৬ অক্টোবর কাতারের এক ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্ট এই আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। ওইদিনই ভারত সরকার জানিয়েছিল, তারা এই বিষয়ে কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এবার মৃত্যুদণ্ড মকুবের আবেদন করল ভারত সরকার।
নয়া দিল্লি: কাতারের মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন অফিসারের সাজা মকুবের জন্য আবেদন করল ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই প্রাক্তন সেনা কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাতারের কাছ থেকে দ্বিতীয় কনস্যুলার অ্যাক্সেস পেয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, এই বিষয়ে কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত সরকার। তিনি বলেন, “কাতারের এক ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আদালত আট ভারতীয় কর্মচারীর বিষয়ে রায় দিয়েছে। রায়টি গোপনীয় এবং শুধুমাত্র আমাদের আইনি দলের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ভারত সরকার একটি আবেদন দায়ের করেছে। আমরা কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।”
তিনি আরও জানান, ৭ নভেম্বর কাতার কনস্যুলার অ্যাক্সেস দিয়েছিল ভারতকে। ওই দিন দোহায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্তারা, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন। অরিন্দম বাগচি আরও জানিয়েছেন, ওই আট প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের পরিবারবর্গের সঙ্গেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ভারত তাঁদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবে।
২৬ অক্টোবর কাতারের এক ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স কোর্ট এই আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। আটজনই নৌসেনা বাহিনী থেকে অবসরের পর, কাতারের এক প্রতিরক্ষা সংস্থায় কাজ করতেন। এই প্রতিরক্ষা সংস্থাটি কাতারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। কাতারি সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন ওই আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্তা। ২০২২ সালের অগস্টে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল কাতার কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে তাঁরা সেই দেশের কারাগারে বন্দি অবস্থাতেই আছেন। এর আগে, চলতি বছরের ১ অক্টোবর কনস্যুলার অ্যাক্সেস পেয়ে কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেছিলেন এই বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে। ঠিক কী অভিযোগে তাঁদের বন্দি করা হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সূত্রের খবর, ইজরায়েলে হয়ে কাতারের উপর চরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।