Outgoing President Ram Nath Kovind: “একুশ শতাব্দী জয়ের পথে ভারত”, বিদায়বেলায় আশাবাদী রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ, কী বললেন শেষ বক্তৃতায়?

Outgoing President Ram Nath Kovind: সরকারিভাবে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিদায় নেওয়ার একদিন আগে, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রামনাথ কোবিন্দ। কী বললেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি?

Outgoing President Ram Nath Kovind: একুশ শতাব্দী জয়ের পথে ভারত, বিদায়বেলায় আশাবাদী রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ, কী বললেন শেষ বক্তৃতায়?
জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 8:17 PM

নয়া দিল্লি: রবিবারই (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর শেষ দিন। বিদায়বেলায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর মতে, একবিংশ শতাব্দীকে জয় করতে সক্ষম ভারত। তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার কারমে তিনি সকল ভারতীয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পাঁচ বছর আগে, আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং আমাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আমি সমস্ত ভারতীয় এবং তাদের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি আরও জানান, গত পাঁচ বছরের মেয়াদে তিনি সমাজের সকল স্তর থেকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন।

২০১৭ সালের ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার তাঁকে পদ ও গোপনীয়তার শপথ পাঠ করিয়েছিলেন। তারপর ৫ বছর কেটে গিয়েছে। সোমবার, আরও এক ২৫ জুলাই, কোবিন্দের উত্তরসূরি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন। তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে যাবেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিদায়বেলায় তিনি স্মরণ করেছেন তাঁর পৈতৃক গ্রামে সফরের কথা। তাঁর স্কুলের শিক্ষকের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার তাঁর জীবনের সবথেকে স্মরণীয় মুহূর্তগুলির অন্যতম বলে জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, “শিকড়ের সঙ্গে শক্তিশালী সংযোগ ভারতীয় সংস্কৃতির একটি বৈশিষ্ট্য। আমি যুবদের তাঁদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”

স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে, রাষ্ট্রপতি তাঁর বিদায়ী ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের কথাও স্মরণ করেছেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক বিস্মৃত নায়ককে হর্তমান সরকার তুলে ধরছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, “ঊনবিংশ শতাব্দীতে, স্বাধীনতার জন্য অগণিত সংগ্রাম হয়েছিল। ভারতীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়েছিলেন এমন বেশ কয়েকজন নায়ককে ভুলে যাওয়া হয়েছিল। এখন, তাদের পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে।”

একইসঙ্গে বিদায়বেলায় তিনি স্মরণ করেছেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান, ড. এপিজে আব্দুল কালাম-সহ তাঁর প্রবাদপ্রতীম পূর্বসূরিদের। তিনি বলেছেন, “পাঁচ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে, আমি আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, ড. এস রাধাকৃষ্ণান এবং ড. এপিজে আব্দুল কালামের মত মহান ব্যক্তিত্বদের উত্তরসূরি হওয়ার দায়িত্ব সম্পর্কে আমি সর্বদা যথেষ্ট সচেতন ছিলাম।”

অতীতকে স্মরণ করার পাশাপাশি, ভবিষ্যতের এদিন দিশাও দেখিয়েছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদকে তিনি পৃথিবীর ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগ হিসাবে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “প্রকৃতি মা গভীর যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। জলবায়ু সংকট এই গ্রহের ভবিষ্যতকে বিপন্ন করতে পারে। আমাদের শিশুদের জন্য আমাদের পরিবেশ, আমাদের জমি, বায়ু এবং জলকে রক্ষা করতে হবে।”