১৫ অগস্টের পর কৌশল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ভারতকে: রাজনাথ সিং
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ভারতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তাই কেন্দ্রীয় সরকার কৌশলে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।'
নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই তাৎপর্যপূর্ণ। আফগানিস্তানে একাধিক প্রকল্পে বড় অঙ্কের বিনিয়োগও করেছে ভারত। বাণিজ্যিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ১৫ অগস্টের পর পরিস্থিতি বদলেছে। কার্যত গোটা দেশের দখল নিয়েছে তালিবান। এই অবস্থায় ভারতকেও নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আফগানিস্তানের জন্য ভারতের নীতি ও কৌশলে পরিবর্তন করতে হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি আমাদের দেশকে নতুন করে কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। ভারত আফগানিস্তানের জন্য কৌশলে পরিবর্তন আনছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী গঠনের কথা বিবেচনা করছে, যারা যুদ্ধের সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’ ব্যাটল গ্রুপ তৈরির কথা যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ দিকে, ভারতের কী কৌশল হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে আমেরিকার সঙ্গেও। সম্প্রতি, আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আলোচনা হয়েছে। শনিবার ব্লিঙ্কেন ও জয়শঙ্করের মধ্যে কথা হয়। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আফগানিস্তান। মার্কিন আধিকারিক নেড প্রিন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের কথা হয়েছে। আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে।’
এ দিকে, আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে ঠিক কতজন ভারতীয় আটকে রয়েছেন, তা জানা নেই ভারত সরকারের। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান প্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতি জারি করা হয়। তালিবানি রাজত্বের খপ্পরে যতজন ভারতীয় পড়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগকেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলেই জানায় বিদেশমন্ত্রক। যদিও সবাইকেই ফিরিয়ে আনা গিয়েছে, এই দাবি করা হয়নি। কিছু ভারতীয় এখনও রয়ে গিয়েছেন। তবে সেই সংখ্যাটা ঠিক কত, তা বিদেশমন্ত্রক বলতে পারেনি। আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে কী হবে কৌশল? কথা হল ভারত-আমেরিকার