পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের বিরোধিতায় ইসলামাবাদে প্রতিবাদবার্তা ভারতের
গত বুধবার জমিয়েত উলেমা-ই-ইসলাম সংগঠনের একটি জমায়েতের ঘণ্টাখানেকের পরই খাইবার পাখতুনখার করক জেলার টেররি গ্রামের হিন্দু মন্দিরে ভেঙে দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু মন্দির ঘটনায় এবার কূটনৈতিক স্তরে প্রতিবাদ জানাল ভারত। শুক্রবারই দিল্লি থেকে প্রতিবাদবার্তা পৌঁছয় ইসলামাবাদে। গত বুধবার জমিয়েত উলেমা-ই-ইসলাম সংগঠনের একটি জমায়েতের ঘণ্টাখানেকের পরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখার করক জেলার টেররি গ্রামের হিন্দু মন্দিরে ভেঙে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে এবং পরে সেখানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা করে পুলিস।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিস। আগেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। এবার কার্যত সরকারিভাবে প্রতিবাদ বার্তা পৌঁছে গেল পাকিস্তানে। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩৫০ জনের বেশি অভিযুক্তর নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে সে দেশে হিন্দুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী নুরুল হদ কাদরি টুইট করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় সচিব লাল চন্দ মলহি খাইবার পাখতুনখোয়ায় মন্দির ভাঙার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এটা অসামাজিক কার্যকলাপ।”
আরও পড়ুন: আগামী বৈঠকও ব্যর্থ হলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ, হুমকি কৃষকদের
এর আগেও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে ভারত। খাইবার পাখতুনখারে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনার ফের সামনে এল সে দেশে হিন্দুদের মানবাধিকারের সওয়াল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।