AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

G-2o Summit: জি-২০-র লোগো প্রস্ফুটিত পদ্ম, কী অঙ্গীকার ভারতের?

এবারের জি-২০ সামিটের লোগো হল, সাতটি পাপড়ি বিশিষ্ট প্রস্ফুটিত পদ্ম। এই লোগোর বিশেষ তাৎপর্যও রয়েছে।

G-2o Summit: জি-২০-র লোগো প্রস্ফুটিত পদ্ম, কী অঙ্গীকার ভারতের?
জি-২০ সামিট।
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2023 | 10:01 PM
Share

নয়া দিল্লি: ২০২৩-এর জি-২০ সামিটের আয়োজক দেশ হল ভারত। বিশ্বজুড়ে আশা, সম্প্রীতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা গড়ে তোলাই এই সামিটের মূল লক্ষ্য। বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে একযোগে শান্তি-স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির অগ্রগতির এজেন্ডা গঠনেরই অঙ্গীকার নিয়েছে ভারত।

এবারের জি-২০ সামিটের লোগো হল, সাতটি পাপড়ি বিশিষ্ট প্রস্ফুটিত পদ্ম। এই লোগোর বিশেষ তাৎপর্যও রয়েছে। মূলত বিশ্বের সাতটি মহাদেশ এবং সুরের সাতটি স্বরের প্রতীক হল পদ্মফুলের সাতটি পাপড়ি। পদ্মফুল ভারতের পৌরাণিক ঐতিহ্য। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে চিত্রিত করে প্রস্ফুটিত পদ্ম। এবারের জি-২০ বিশ্বকে সম্প্রীতির বন্ধনে একত্রিত করবে- লোগোর মাধ্যমে এমনটাই বোঝানো হয়েছে।

এবারের জি-২০ সামিটে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে। দূষণমুক্ত বসবাসযোগ বিশ্ব গড়ে তুলতে অপ্রচলিত শক্তি ও শক্তির রূপান্তরের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে সবুজ বিশ্ব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব দেখা দিয়েছে। সেই মন্দা কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই লক্ষ্য জি-২০ সামিটের। পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যবস্থার উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল যাতে মানবজাতির একটি ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে তা নিশ্চিত করতে ভারত জি-২০ ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও কাজ করার অঙ্গীকার নিয়েছে।

এছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবার কাঠামো দৃঢ় করার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে ২০২৩-এর জি-২০ সামিটে। দু-বছর করোনা মহামারীর সময় ভারত কেবল দেশের ১.৩ বিলিয়ন নাগরিকের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী যোগ্যতা অর্জন করেনি, বরং অনেক উন্নয়নশীল দেশের খাদ্য সরবরাহকারী হিসাবেও আবির্ভূত হয়়েছে। ভারত আফগানিস্তানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম এবং ওষুধ ও করোনা ভ্যাকসিন প্রেরণ করেছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারকেও খাদ্যশস্য ও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। অশিক্ষা দূর করতেও ভারত বিশেষ তৎপর। সবমিলিয়ে, জি-২০ সামিটে সভাপতিত্ব করে দূষণমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, এক সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়েছে ভারত।