‘দ্বিতীয় ঢেউ’য়ে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৭ হাজার ২৬২, করোনাবিধি মানাতে কড়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ উর্ধ্ব যেকোনও ব্যক্তি করোনা টিকা(COVID-19 Vaccine) নিতে পারবেন বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়া দিল্লি: ফের নয়া রেকর্ড। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৬২ জন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের, সেখানে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৯৯ জন।
লকডাউনের বর্ষপূর্তিতে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বিগত এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের গণ্ডি পার করছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৬২ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮-এ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনেই ২৭৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪১-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে কেবল মহারাষ্ট্রেই ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যেও। পঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাট, ছত্তিসগঢ়েও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পঞ্জাবে আবার আক্রান্তদের অধিকাংশই নয়া স্ট্রেনের শিকার।
পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৪ জন, মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ৮১ হাজার ৪০৩-এ। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৬। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১৯টি জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। হাওড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ জন।
দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই কেন্দ্রীয় সরকার টিকাকরণে গতি এনেছে। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে কেবল স্বাস্থ্যকর্মী ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং কো-মর্ডিবিটি যুক্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হলেও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ১ এপ্রিল থেকে ৪৫-উর্ধ্ব সকল ব্যক্তিই টিকা নিতে পারবেন।
এদিকে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা বা কড়া নিয়ম জারির নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি রাজ্যে যাতে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলি মানা হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জরিমানা করার নির্দেশও দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ হাজার, প্রকাশ্যে হোলি খেলা যাবে না, নির্দেশিকা জারি দিল্লি সরকারের