ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি, দৈনিক আক্রান্ত ৪৩ হাজারেরও বেশি, একদিনেই মৃত্যু প্রায় ২০০ জনের
সংক্রমণের হার মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-ই বেশি। দেশের মোট আক্রান্তের মধ্যে ৬২ শতাংশই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১২৬ জন।
নয়া দিল্লি: দেশের নানা প্রান্তে জারি করা হচ্ছে লকডাউন, কোথাও বা জারি রয়েছে নাইট কার্ফু। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নানা প্রচেষ্টা করলেও আক্রান্তের সূচক উর্ধ্বমুখীই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের। এরমধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। একদিনেই সে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।
বিগত চারদিন ধরেই দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের গণ্ডি পার করছে। তবে এ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজারের গণ্ডি পার করে, যা বিগত চার মাসে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই এটিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: পরমবীর সিংয়ের পত্র বোমায় মহারাষ্ট্র সরকারের অস্তিত্ব সঙ্কটে
রাজ্য ভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে উঠে এসেছে মহারাষ্ট্র। গত বছরেও করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলছিল মহারাষ্ট্রেই। চলতি বছরেও সংক্রমণের হার মহারাষ্ট্রেই বেশি। দেশের মোট আক্রান্তের মধ্যে ৬২ শতাংশই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১২৬ জন। এছাড়াও পঞ্জাব, দিল্লি, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কেরলেও বিগত দুই মাস ধরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ হাজার ৯৫৬ জন। এই নিয়ে দেশে এখনও অবধি মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ২৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন।
দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে সাধারণ মানুষের অবহেলাকেই দায়ী করা হয়েছে। এই কারণেই কেন্দ্র সরকারের তরফে নতুন করে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৪৩ হাজারের গণ্ডি, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও