Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লকডাউন-কার্ফুকে ফাঁকি দিয়েই দৈনিক সংক্রমণ পার করল ১৭ হাজারের গণ্ডি

দেশে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ (COVID-19 Vaccination) শুরু হলেও করোনা সংক্রমণ বাগ মানেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

লকডাউন-কার্ফুকে ফাঁকি দিয়েই দৈনিক সংক্রমণ পার করল ১৭ হাজারের গণ্ডি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 1:05 PM

নয়া দিল্লি: কোথাও সম্পূর্ণ লকডাউন(Lockdown), কোথাও আবার কার্ফু(Curfew)! গতবছরের করোনাকালের স্মৃতিই বারংবার ফিরে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নতুন বছরে শুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থাকলেও যত দিন গড়াচ্ছে, ততই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা (COVID-19) সংক্রমণের সূচক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪০৭ জন। তবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে মৃত্যুর হার। করোনা সংক্রমণের কারণে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৩-এ।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বেশ কিছুটা বাগে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। চলতি বছরের শুরুতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে থাকত। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ফের উর্ধ্বমুখী হয় করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি, যা বিগত এক মাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত সংখ্যা।

টিকাকরণ প্রক্রিয়া দ্বিতীয় দফায় পৌছে যাওয়ার পরও মৃত্যু মিছিল থামানো যায়নি। সংক্রমণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৫-এ। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৩।

আরও পড়ুন:মাওবাদীর খোঁজে তল্লাশি অভিযানেই আইইডি বিস্ফোরণ, নিহত ২ পুলিশকর্মী

তবে করোনা সংক্রমণে বিশ্বের পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতে সুস্থতার হার আশাজনক। এখনও অবধি মোট ১ কোটি ৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৫ জন। বর্তমানে দেশের সুস্থতার হার ৯৭.০৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই কো-মর্ডিবিটির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।

সংক্রমণের নিরিখেই হোক কিংবা মৃত্যুহার, শুরু থেকেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। মোট মৃতের সংখ্যার মধ্যে ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এরপরই রয়েছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu), কর্নাটক(Karnataka), দিল্লি (Delhi)। ১০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে আমাদের রাজ্যও।

ইতিমধ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় লকডাউন ও কার্ফু জারি করা হয়েছে। গুজরাটের চার শহরেও রাত্রিকালীন কার্ফুর মেয়াদ চলতি মাসের ১৫ তারিখ অবধি বাড়ানো হয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রের তরফেও বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে কড়া হাতে নিয়ম জারির নির্দেশও দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: উড়িয়ে দেওয়া হবে তাজমহল! বোমাতঙ্কে তড়িঘড়ি ফাঁকা করা হল স্মৃতিসৌধ