রাষ্ট্রপুঞ্জে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের! পাকিস্তানের মতো ‘ফেল’ করা দেশের থেকে গণতন্ত্রের পাঠ চায় না ভারত

UNHRC : রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে দিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ দেশের থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না ভারত।

রাষ্ট্রপুঞ্জে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের! পাকিস্তানের মতো 'ফেল' করা দেশের থেকে গণতন্ত্রের পাঠ চায় না ভারত
কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাতে গিয়ে ফের ভারতের ধমক খেল পাকিস্তান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 2:23 PM

নয়াদিল্লি : সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের একবার দিল্লির নিশানায় ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধনা করল ভারত। কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার নাক গলানোয় বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে ভারত কড়া বার্তা দেয় পাকিস্তানে। পাকিস্তান খোলাখুলিভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে এবং আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। এমনকী যেসব জঙ্গি গোষ্ঠীকে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জ তালিকাভুক্ত করেছে, সেই সব গোষ্ঠীকেও পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ নীতির নামে সাহায্য করছে।

পাকিস্তানে শিখ, হিন্দু, খ্রিস্টান সহ একাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় কয়েক হাজার মহিলাকে অপহরণ করা হচ্ছে। তাঁদের জোর করে বিয়ে করিয়ে ধর্মান্তকরণ করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের মতো বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক দেশের পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ দেশের থেকে তার পাঠ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাসুদ কুরেশি ১৩১ পাতার এক বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে ভারতকে বদনাম করার উদ্দেশে বলা হয়েছিল, আইনবিরুদ্ধভাবে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। মিথ্যা অভিযান চালানো হচ্ছে। ভারত সরকার কাশ্মীরে নৃশংসতা চালাচ্ছে। আরও এক পা এগিয়ে পাকিস্তান নিজেদের দোষ ঢাকতে ভারতের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলেছিল। বলা হয়েছিল, গুলমার্গ, রায়পুর, যোধপুর, চক্রতা, অনুপগড় এবং বিকানেরর মতো জায়গাগুলিতে ভারত সরকার নাকি আইসিস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

আর সেই বিবৃতির পরই পাল্টা জবাব দিল ভারত। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ দেশের থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না ভারত।

এদিকে সম্প্রতি তালিবান ও হাক্কানি গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়া নিয়ে আমেরিকাও মুখ খুলেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন, ‘দিনের পর দিন তালিবানের (Taliban) সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তালিবদেরই নয়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিদেরও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’ পাকিস্তানের এমন কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে, যা আমেরিকার নীতির পরিপন্থী, তাই পাকিস্তানের দিকে আমেরিকা কড়া নজর রাখছে বলে জানালেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তালিবান কাবুল দখল করার পর প্রথমবার মার্কিন কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, আফগানিস্তানে ভারতের একটা বড় ভূমিকা ছিল। তাই বিরোধিতা করতে অনেক ‘ক্ষতিকারক’ কাজ করেছে পাকিস্তান।

দিনের পর দিন তালিবানকে পাকিস্তান সমর্থন জুগিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্লিনকেন। তাঁর দাবি, আফগানিস্তানের ভারতে ভূমিকা কোনওদিনই ভাল চোখে দেখেনি পাকিস্তান। তাই তারা নানা ধরনের ক্ষতিকর কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে। শুধু ব্লিনকেনই নয়, আমেরিকার সাংসদ বিল কিটিং এই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করিয়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা। আদরাফ ঘানি দেশ ছাড়া হওয়ার পর ইমরান বলেছিলেন, ‘দাসত্বের শৃ্ঙ্খল-মুক্ত হল আফগানিস্তান।’ এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহও সম্প্রতি দাবি করেছেন, তালিবান চলছে পাক সংস্থা আইএসআই-এর অঙ্গুলিহেলনে।

আরও পড়ুন : ঘানি সরকারের সেনাকর্মীদের নিয়েই উর্দিধারী বাহিনী তৈরি করবে তালিবান