India-US Relation: আন্তর্জাতিক স্তরে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি? আমেরিকাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ ভারতের

India-US Relation: প্রসঙ্গত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে নিয়ে মতানৈক্য ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল।

India-US Relation: আন্তর্জাতিক স্তরে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি? আমেরিকাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ ভারতের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 6:15 PM

নয়া দিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। একাধিকবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক স্তরে ‘দাদাগিরি’ করতে অভ্যস্ত আমেরিকা তা মোটেও ভালভাবে নেয়নি। এবার ভারতে ‘সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ’ নিয়ে আমেরিকার দেওয়া রিপোর্টে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল নয়া দিল্লি। সিনিয়র মার্কিন আধিকারিকের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে নয়া দিল্লি জানিয়েছে, তিনি ‘অজ্ঞাত’ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি’ হয়েছে। নয়া দিল্লির অভিযোগ, ‘বিকৃত তথ্য’ এবং ‘পক্ষপাতিত্ব’ করে যাবতীয় মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন. “আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ২০২১ সালের মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত রিপোর্ট এবং আমেরিকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মন্তব্য আমরা খতিয়ে দেখিছি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আন্তর্জাতিক স্তরেও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি হচ্ছে। আমাদের অনুরোধ, পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং অসত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন এড়িয়ে যাওয়া উচিত।”

অরিন্দম বাগচি বলেন, “বহুত্ববাদী সমাজ হিসেবে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারকে মূল্য দেয়। আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় আমরা বারবারই জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। সেই কারণে আক্রমণ, ঘৃণাঘটিত অপরাধ এবং বন্দুক সংক্রান্ত হিংসার কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।” আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ২০২১ সালের আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ, তাদের হত্যা, সংখ্যালঘুদের হেনস্থা এবং উত্ত্যক্ত করার অসংখ্য ঘটনা ঘটে। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে নিয়ে মতানৈক্য ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়া এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত আমেরিকা যে ভালভাবে নেয়নি, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের কথাতেই প্রকাশ পেয়েছিল। তবে সম্প্রতি কোয়াড সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সুসম্পর্কের ছবিই ধরা পড়ে। এবার ভারতের তরফে এই কড়া প্রতিক্রিয়া দু’দেশের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।