বছরে ৮৫ কোটিরও বেশি স্পুটনিক তৈরি করবে ভারত, টিকা সমস্যায় ইতি?
যে ৬০ দেশে স্পুটনিক (Sputnik V) অনুমোদন পেয়েছে তার জনসংখ্যা ৩০০ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ।
মস্কো: বিশ্বের ষাটতম দেশ হিসেবে স্পুটনিক ভি (Sputnik V) প্রতিষেধককে অনুমোদন দিয়েছে ভারত। টিকা ডিসিজিআই অনুমোদন পাওয়ার পর ভারতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (RDIF)। এ বার আরডিআইএফের সিইও কিরিল দিমিত্রেভ জানিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর ৮৫ কোটিরও বেশি করোনা টিকা তৈরি হবে। যার মাধ্যমে ভারতে টিকাকরণ তো হবেই পাশাপাশি টিকা রফতানি হিসেবে বিদেশেও।
যে ৬০ দেশে স্পুটনিক অনুমোদন পেয়েছে তার জনসংখ্যা ৩০০ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। তাই টিকার ঘাটতি মেটাতে দেশের একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে আরডিআইএফ। গ্ল্যান্ড ফার্মা, হেটেরো ফার্মা, প্যানাসিয়া বায়োটেক-সহ একাধিক ওষুধ নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বছরে ৮৫ কোটিরও বেশি করোনা টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে আরডিআইএফ। দেশে আগেই অনুমোন পেয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। তৃতীয় টিকা হিসেবে স্পুটনিক আসায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশজুড়ে টিকা সমস্যার সমাধান হলেও হতে পারে।
মডার্না ও ফাইজ়ারের পর বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকরী করোনা টিকা হল স্পুটনিক। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা রুখতে স্পুটনিক ৯১.৬ শতাংশ কার্যকরী। ভারতে তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলাকালীনই ১৯ ফেব্রুয়ারি আপদকালীন অনুমোদনের আবেদন করেছিল স্পুটনিক। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার এই করোনা প্রতিষেধক। ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সী ১ হাজার ৬০০ জনের ওপর ট্রায়াল চালিয়েছে ডঃ রেড্ডিজ ল্যাব। রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিন বিশ্ব বাজারে প্রতি ডোজ় ১০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫১ টাকায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রথম অনুমোদিত টিকা এই স্পুটনিক ভি। সবাইকে তাক লাগিয়ে প্রতিষেধকে অনুমোদন দিয়ে ‘ফার্স্ট বয়’ হয়েছিল রাশিয়া। যদিও ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য না থাকায় পরবর্তীকালে এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! সরকারি হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করছেন বাগানের মালি