ফিরতে হবে ভারতেই, মেহুল চোকসির পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল ‘নাগরিকত্বে’র ঢালই!
আগামিকাল ডমিনিকার আদালতে চোকসির মামলার শুনানিতেও নাগরিকত্বের বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই দ্রুত ভারতের হাতে ফেরার হিরে ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করেই ভারতে ফিরতে অস্বীকার করছিলেন পিএনবি দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। এ বার সেই নাগরিকত্বের বলেই চোকসিকে দ্রুত ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানাবে কেন্দ্র, এমনটাই জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানান, অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিলেও মেহুল চোকসি ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেনি।
১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক লোন মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি বর্তমানে ডমিনিকায় জেলবন্দি। ৩ জুন ডমিনিকার আদালতে তাঁর গ্রেফতারি সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি রয়েছে। এদিকে, তাঁকে ভারতে ফেরাতে ইতিমধ্যেই ডমিনিকায় পৌঁছেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আট সদস্য।
চোকসিকে ভারতে ফেরাতে তাঁর নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করা হবে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক। তিনি জানান, “নাগরিকত্ব আইন ২০০৯ -র ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ভারতীয় অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিতে গেলে তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়ার জন্য আবেদন জানাতে হয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু মেহুল চোকসি এই নিয়ম মানেননি।”
আগামিকাল ডমিনিকার আদালতে চোকসির মামলার শুনানিতেও নাগরিকত্বের বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই দ্রুত ভারতের হাতে ফেরার হিরে ব্যবসায়ীকে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব আদায়ের জন্য মেহুল চোকসি যে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে চোকসির দক্ষিণ মুম্বইয়ের বাড়ির সামনে যে অগুনতি নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেগুলিও পেশ করা হবে।
গত সপ্তাহেই অ্যান্টিগুয়া থেকে কিউবা যাওয়ার পথে ডমিনিকায় ধরা পড়ে যান পিএনবি দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। এরপর থেকেই তাঁকে ভারতে ফেরানো নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশন ‘জলই জীবন’ বাস্তবায়নে বাংলার জন্য প্রায় ৭ হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের