Air Force Exercise: হাসিমারার আকাশে পাক দিচ্ছে ১৮টি রাফাল-সুখোই, যুদ্ধ আবহেই বড় সিদ্ধান্ত বায়ুসেনার
Hasimara Air Base: ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই, সীমান্তে চিনের অনেক যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সিগাৎসে বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্য়ক যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে।
হাসিমারা: কয়েক দশক পুরনো সীমান্ত বিরোধ। মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়েছে বেশ কয়েকবার। প্রতিবারই প্রতিবেশী চিনকে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও শিক্ষা হচ্ছে না চিনের। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনুপ্রবেশের। সম্প্রতি গত ৯ ডিসেম্বরই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। এই ঘটনার পর থেকেই তাওয়াং সেক্টর এবং তার আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। স্থল সেনার পাশাপাশি আকাশপথে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় বায়ুসেনাও। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার উপর দিয়ে চক্কর কাটছে বায়ুসেনার বিমান।
তাওয়াংয়ে যাতে নতুন করে আর কোনও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে বায়ুসেনার তরফে। চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধবিমান। শুধু অরুণাচল সীমান্তই নয় , অসমের তেজপুর, ছাবুয়াতেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সুখোই-৩০ বিমান। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে উত্তরবঙ্গের হাসিমারাও। কারণ এখানে বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই হাসিমারার বিমানঘাঁটি হওয়ায়, সেখানেও হামলা চালাতে পারে লাল ফৌজ। সেই কারণেই বর্তমানে সেখানে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সেনা সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধবিমানগুলির কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা যাচাই করার জন্য দুইদিনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। হাসিমারায় বর্তমানে ১৮টি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আম্বালায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও ১৮টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই, সীমান্তে চিনের অনেক যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সিগাৎসে বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্য়ক যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে। হঠাৎ এই আকাশপথে নজরদারি বাড়ানোর পাল্টা জবাব হিসেবেই ভারতীয় বায়ুসেনার তরফেও রাফাল, সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল ও আশেপাশের বিভিন্ন সীমান্ত এবং বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কম্য়ান্ড স্তরে বায়ুসেনার মহড়া হবে। এই মহড়ায় বায়ুসেনার যাবতীয় শক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে। ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ডের অধীনে এই মহড়া চলবে।
সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে রাফাল, তেজস, সুখোই যুদ্ধবিমান। একসঙ্গে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা, অসমের তেজপুর, ছাবুয়া, জোরহাট ও পানাগড়ে মহড়া চলবে। মূলত কোনও হামলার সময়ে বায়ুসেনা কত দ্রুত জবাব দিতে পারে এবং পাল্টা হামলা চালাতে পারে, তাই-ই পরীক্ষা করে দেখা হবে এই সামরিক মহড়াতে। .