Chinook Helicoptrs: ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ড, চিনুক কপ্টারের পুরো বহর বসিয়ে দিল মার্কিন সেনা, উদ্বেগ ভারতীয় বায়ুসেনাতেও

Chinook Helicopters: ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিনুক হেলিকপ্টার কিনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুরো চিনুক বহর বসিয়ে দিয়েছে মার্কিন সেনা। এরপর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতীয় চিনুকগুলি নিয়েও।

Chinook Helicoptrs: ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ড, চিনুক কপ্টারের পুরো বহর বসিয়ে দিল মার্কিন সেনা, উদ্বেগ ভারতীয় বায়ুসেনাতেও
৪০০টি কপ্তারের বহরকে বসিয়ে দিল আমেরিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 2:34 PM

নয়া দিল্লি: বুধবার (৩১ অগস্ট) ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সিএইচ-৪৭ চিনুক হেলিকপ্টারের পুরো বহরই বসিয়ে দিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বোয়িং সংস্থার তৈরি এই আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলি কিনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনাও। মার্কিন সেনা তাদের পুরো চিনুক বহর বসিয়ে দেওয়ার পর, উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেই কপ্টারগুলির ভবিষ্যত নিয়েও। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতীয় বাহিনীতে সামিল করা চিনুক কপ্টারগুলি এখনও স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে। কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। তবে, ঠিক কেন মার্কিন সেনা চিনুক কপ্টারের পুরো বহর বসিয়ে দিয়েছে, বোয়িং সংস্থার কাছে তার বিশদ জানতে চেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনুক বহর বসিয়ে দেওয়ার পর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাতেও। ২০১৯ সালের মার্চে বোয়িং সংস্থার তৈরি ১৫টি চিনুক কপ্টার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল ভারতীয় বাহিনীতে। এর একটি শাখা কাজ করে চণ্ডীগঢ় থেকে, সেখান থেকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে উড়ান পরিচালনা করা হয়। আরেকটি শাখা মোতায়েন রয়েছে অসমে। সেগুলি দায়িত্ব উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। লাদাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহের মতো সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এই কপ্টারগুলিই এয়ার লিফটের প্রধান উপায়। মার্কিন বাহিনী চিনুক কপ্টারগুলিকে বসিয়ে দেওয়ার পর, ভারতীয় বাহিনীর হাতে থাকা চিনুকগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার কর্তারা জানিয়েছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার বহর এখনও সচল রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে, ঠিক কী কারণে মার্কিন সেনাবাহিনীর চিনুক হেলিকপ্টারগুলির পুরো বহরটি গ্রাউন্ড করা হল, সেই কারণের বিশদ চাওয়া হয়েছে।”

২০১৯ সালের মার্চ মাসে বোয়িং সংস্থার তৈরি এই আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলি কিনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা

ভিয়েতনামের যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গী ছিল আইকনিক চিনুক হেলিকপ্টারগুলি। সব মিলিয়ে মোট ৪০০টি সশস্ত্র চিনুক কপ্টার ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীতে। ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণেই এই পদক্ষেপ করেছে মার্কিন সেনা। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইঞ্জিন-নির্মাতা ‘হানিওয়েল’এর মতে চিনুক কপ্টারগুলির ‘ও-রিং’-এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই ও-রিং হল অনেকটা প্রেসারকুকারের গ্যাসকেটের মতো। কোনও তরল বা গ্যাস যাতে লিক না করে, তার জন্যই এই ও-রিং লাগানো হয়। সেটি ঠিক মতো কাজ না করাতেই ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, মার্কিন সেনা জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই চিনুক কপ্টারগুলি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এই ও-রিংস-এর সমস্যার দায় নিতে নারাজ হানিওয়েল সংস্থা। কোথায় সেগুলি তৈরি করা হয়েছে, কারাই বা সেগুলি ইঞ্জিনে লাগিয়েছে, তার কোনও বিশদও তারা দেয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “মার্কিন সেনা এবং হানিওয়েল সংস্থা যাচাই করে দেখেছে, সন্দেহজনক ও-রিংগুলির কোনওটিই হানিওয়েলের তৈরি নয় বা হানিওয়েলের তৈরি ইঞ্জিনের অংশ ছিল না। তবে কোথা থেকে এল ওই ত্রুটিপূর্ণ ও-রিংগুলি? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।