Indian Rail: প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড় বন্ধে এক বছরে রেলের অতিরিক্ত আয় ২,২০০ কোটি টাকা
২০২০-র ২০ মার্চে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৭.৩১ কোটি প্রবীণ নাগরিককে ট্রেনের টিকিটে বিশেষ ছাড় দেয়নি রেল।
নয়া দিল্লি: করোনা মহামারীর পর থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) ট্রেনের টিকিটের (Train Fare) বিশেষ ছাড় (Concession) প্রত্যাহার করেছিল ভারতীয় রেল (Indian Rail)। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। তবে এই পদক্ষেপের ফলে গত একবছরে রেলের আয় বেড়েছে ২ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি এক RTI-এর প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য পেশ করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রে খবর, ২০২০-র ২০ মার্চে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীদের বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান স্থগিত করে দিয়েছিল রেল। সেই সময় রেলের আয় হয়েছিল ১৫০০ কোটি টাকা। তারপর ২০২২-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩-এর ১ মার্চ পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে বিশেষ ছাড়া প্রত্যাহার করে নেওয়ায় রেলের অতিরিক্ত আয় হয়েছে ২,২৪২ কোটি টাকা।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর গৌড়ের করা RTI-এর প্রশ্নের জবাবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩-এর ১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪.৬ কোটি পুরুষ, ৩.৩ কোটি মহিলা এবং ১৮ হাজার রূপান্তরকামী প্রবীণ নাগরিক ট্রেনের টিকিটে বিশেষ ছাড় পাননি। এই সময়কালে প্রবীণ নাগরিকদের থেকে রেলের মোট আয় হয়েছে ৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা। যার মধ্যে টিকিটে প্রবীণ নাগরিক হিসাবে ছাড় না দেওয়ায় রেলের অতিরিক্ত আয় হয়েছে ২,২৪২ কোটি টাকা।
২০২০-র ২০ মার্চে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৭.৩১ কোটি প্রবীণ নাগরিককে ট্রেনের টিকিটে বিশেষ ছাড় দেয়নি রেল। যার ফলে এই সময়কালে প্রবীণ নাগরিকদের থেকে রেলের মোট আয় হয়েছিল ৩,৪৬৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রেলের তরফে ট্রেন যাত্রীদের প্রায় ৫৩ ধরনের ছাড় দেওয়া হয় এবং তার ফলে বছরে রেলের বোঝা হয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। রেলের তরফে মোট যে ছাড় দেওয়া হয় তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিকের টিকিটে ছাড়। যদিও বর্তমানে সেটি বন্ধ রয়েছে।