Mumbai Police: আন্তর্জাতিক যোগের সন্দেহ, ভোর চারটেয় খাবার অর্ডারের সূত্রে বড়সড় ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস পুলিশের
Mumbai Police: সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে বাড়িটিতে ভিড় করেন পর্যটকদের দল। অন্য সময় মোটের উপর ফাঁকাই পড়ে থাকে বলে সবাই জানত।
মুম্বই: ভোর চারটের সময় অর্ডার করা হয়েছিল এক ডজন খাবারের প্লেট। আর তার সূত্র ধরেই মুম্বইয়ে বড়সড় ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ (Mumbai Police)। সূত্রের খবর, রৌজরির সমুদ্র সৈকতের কাছে একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকেই চলছিল বেআইনি কোনও কাজ। সেই খবর এসে পৌঁছেছিল পুুলিশের কাছে। কিন্তু, হাতে আসছিল না পাকাপোক্ত কোনও প্রমাণ। কোন বাড়িতে চলছিল এই কাজ সে বিষয়ে দিশাহীন ছিল পুলিশ। অবশেষে খাবার অর্ডারের সূত্র ধরে খোঁজ মিলল সেই বাড়ির। গ্রেফতার বাড়ির মালিক সহ ৪৭ জন।
সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে বাড়িটিতে ভিড় করেন পর্যটকদের দল। অন্য সময় মোটের উপর ফাঁকাই পড়ে থাকে বলে সবাই জানত। কিন্তু, পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তাহান্ত ছাড়াও সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে প্রতিদিন সকালেই নিকটবর্তী একটি খাবারের দোকানে ওই বাড়ি থেকে ৫০ থেকে ৬০ জনের খাবারের অর্ডার যেত। তাতেই বাড়তে থাকে সন্দেহ। অবশেষে সম্প্রতি ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
তল্লাশি শুরু করতেই দেখা যায় গোটা বাড়িটিকে ৬০টি ওয়ার্ক স্টেশনে ভাগ করা হয়েছে। সেখানেই চলত কল সেন্টারের কাজ। এই কল সেন্টারের আড়ালেই দীর্ঘদিন থেকে চলত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির কাজ। বাড়ি থেকে প্রচুর কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। এমনকী বাড়িতে থাকা কর্মচারিদের কখনও বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি ছিল না। পুলিশের সন্দেহ এই চক্রের যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের সঙ্গে। ধৃতদের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া-সহ একাধিক দেশের বহু ব্যাঙ্কের তথ্যও মিলেছে। ধৃতদের কাছে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য, ওটিপি, পাসওয়ার্ড, ইমেল পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের মাথায় আদপে কাদের হাত রয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কম্পিউটারগুলির ফরেনসিক পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে।