Indian Railway: ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বলে আর কিছু থাকবে না রেলে, খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ কোটি
Indian Railway: বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন। এর জন্য রেল প্রতিদিন ১০ হাজার ৭৫৪টি ট্রেন চালায়। আরও তিন হাজার ট্রেন যুক্ত হলে তবেই দেশে অপেক্ষমাণ তালিকার সমস্যা কেটে যাবে।
নয়া দিল্লি: যাত্রীদের সর্বোতভাবে সুবিধা দেওয়ার জন্য রেল প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে। তবে ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলে যাত্রীরা সমস্য়ায় পড়েন অনেক সময়। শেষ মুহূর্তে গিয়ে প্ল্যান বাতিল হতে পারে, এমন আশঙ্কাও থাকে। তবে এবার এই সমস্যা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। এবার থেকে যাত্রীরা যখনই চাইবেন নিশ্চিত টিকিট পাবেন। তার জন্য বিপুল টাকা ব্যয় করছে রেল মন্ত্রক। এই প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে ১ লক্ষ কোটি টাকা।
দুর্গা পূজা, দীপাবলি, ছট পুজোর মতো উৎসবগুলির সময়, ট্রেনগুলি যাত্রী সংখ্যা বাড়ে। কয়েকশ যাত্রী থাকেন দীর্ঘ অপেক্ষার তালিকায়। দীর্ঘদিন ধরেই এটি যাত্রীদের পাশাপাশি রেল মন্ত্রকের মাথাব্যথার কারণ এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অপেক্ষমাণ তালিকার সমস্যা সম্পূর্ণভাবে দূর করার ব্যবস্থা করছে রেল।
ইকনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রেল যাত্রীর সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে এবং প্রত্যেককে নিশ্চিত আসন দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল। এর জন্য, নতুন ট্রেন কেনার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। তার জন্য মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের বরাদ্দ করা হবে এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।
বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন। এর জন্য রেল প্রতিদিন ১০ হাজার ৭৫৪টি ট্রেন চালায়। আরও তিন হাজার ট্রেন যুক্ত হলে তবেই দেশে অপেক্ষমাণ তালিকার সমস্যা কেটে যাবে। করোনা পরিস্থিতির আগের তুলনায় এখন দুটি ট্রেনের মধ্যে ফারাক বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু এত বেশি যাত্রী বহনের জন্য এটাও যথেষ্ট নয়। রেলের অনুমান, ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে ১০০০ কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত শুরু করবে, তখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।