ISIS-K: ভারতের জেলে ছিল এই জঙ্গি, কাবুলে ঘটাল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ!

Abdur Rahman al-logri: ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর প্রচারমূলক একটি পত্রিকায় তারা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। একসময় ভারতে হামলা চালাতে এসেছিল এই জঙ্গি।

ISIS-K: ভারতের জেলে ছিল এই জঙ্গি, কাবুলে ঘটাল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ!
কাবুলে হামলা চালানো রহমান আল লোঘরি (ছবি প্রকাশ করেছে আইএস)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 9:39 AM

নয়া দিল্লি: তালিবান (Taliban) কাবুল দখল করার কয়েকদিনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) তখন অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন সেনাবাহিনীর (US Army) তত্ত্বাবধানে আফগানদের বিমানে ওঠার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আচমকাই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান বহু মানুষ। শতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় কাবুলের বুকে। একাধিক মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনার পরই জানা যায় যে আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। এবার সামনে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে জঙ্গি ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, তাকে নাকি বছর পাঁচেক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতে।

কাবুলের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আগেই দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। এবার তারাই সংগঠনে প্রচারমূলক একটি প্রচারমূলক পত্রিকা ‘ভয়েস অব হিন্দ’-এ দাবি করেছে যে, ওই দিনের হামলার ঘটনায় আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে কাজ করেছিল রহমান আল লোগরি। আর সেই লোগরিকেই একসময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লিতে। ভারতের জেলেও কিছু সময় কাটিয়েছে লোগরি। পরে চলে যায় আফগানিস্তানে। ভারতেও হামলা চালাতে এসেই ধরা পড়ে লোগরি।

ইসলামিক স্টেট-খোরাসান দাবি করেছে যে, কাশ্মীরের প্রতিশোধ নিতেই ভারতে এসেছিল রহমান আল লোগরি। বছর পাঁচেক আগে সেই সময় ধরা পড়ে যায় সে। ছাড়া পাওয়ার পর চলে যায় আফগানিস্তানে। ভারতে ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। ২০২০ সালে এই ‘ভয়েস অব হিন্দ’-এ দিল্লির এক সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। তখন তল্লাশি চালিয়ে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় জাহানাজিব সামি ও তার স্ত্রী হিন্দা বসির বেগকে। পরে এনআইএ সেই অভিযোগের তদন্তভার নেয়। পরেও এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে ভারতে।

কাবুল  বিমানবন্দরের ওই বিস্ফোরণের পর জানা যায়, যারা এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব খোরাসানের সদস্য হয়েছেন, এমন ১৪ জনের আদি বাড়ি কেরলে। জানা যায়, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরে সমস্ত জেল থেকে বেশ কয়েকজন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছিল তালিবান। সূত্রের খবর, সেই সময় আরও অনেকের সঙ্গে ওই বাঘরাম জেল থেকে বেরিয়ে আসে অন্তত ১৪ জন আইএস সদস্য। আর তাদেরই বাড়ি কেরলে। এদের মধ্যে একজন কেরলে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। বাকি ১৩ জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয় এই কয়েকজন। কেরলের মলপ্পুরম, কাসরগৌড় এবং কন্নর জেলা থেকে বহু যুবক ইসলামিক ষ্টেট সংগঠনে যোগ দিতে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানা যায়। আর সেই সময়েই বেশ কিছু পরিবার আফগানিস্তানে থাকা এই সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলায় বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: মেয়েদের পায়ে বেড়ি দিতেই কি ‘শরিয়ত’! কেন এত ভরসা তালিবানের?