S Somnath: ISRO প্রধান হওয়ার পথে ‘কাঁটা’ ছিলেন প্রাক্তন শিভন! বিস্ফোরক দাবি সোমনাথের আত্মজীবনীতে
ISRO Chief Autobiography: এস সোমনাথ তাঁর আত্মজীবনী 'নিলাভু কুদিচা সিমহঙ্গল' (চাঁদের আলো পান করা সিংহরা)-তে যেমন চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন, তেমনই চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতৈ নিয়েও অনেক কথা লিখেছেন। ওই বইতেই এস সোমনাথ দাবি করেছেন, ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিবন তাঁর পদোন্নতিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
নয়া দিল্লি: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করে মহাকাশের ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে চন্দ্রযান-৩। এই সফল মিশনের নেপথ্যে ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। সম্প্রতিই জানা গিয়েছিল, তিনি আত্মজীবনী প্রকাশ করতে চলেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন তিনি। শনিবারই ইসরো প্রধান ঘোষণা করেন, আপাতত আত্মজীবনী প্রকাশ করছেন না তিনি। তবে সূত্রের খবর, তাঁর আত্মজীবনী নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার কারণেই সিদ্ধান্ত বদল। আত্মজীবনীতে তিনি দাবি করেছেন, ইসরো প্রধান হওয়ার পথে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিলেন। ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিবনও তাঁর পদোন্নতি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন! আত্মজীবনীতে লেখা এই তথ্য় ফাঁস হতেই বিতর্ক শুরু হয়।
শনিবারই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, তাঁর আত্মজীবনী ‘নিলাভু কুদিচা সিমহঙ্গল’ প্রকাশনা আপাতত প্রকাশ করছেন না। আত্মজীবনী নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত।
কী নিয়ে বিতর্ক?
জানা গিয়েছে, এস সোমনাথ তাঁর আত্মজীবনী ‘নিলাভু কুদিচা সিমহঙ্গল’ (চাঁদের আলো পান করা সিংহরা)-তে যেমন চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন, তেমনই চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতৈ নিয়েও অনেক কথা লিখেছেন। ওই বইতেই এস সোমনাথ দাবি করেছেন, ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিবন তাঁর পদোন্নতিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতার কারণ ব্য়াখ্যা করেও তিনি লিখেছেন যে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি না করেই চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করায়, তা চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আত্মজীবনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত-
শনিবারই ইসরো প্রধান এস সোমনাথ আত্মজীবনী আপাতত প্রকাশ না করার কথা জানান। তিনি বলেন, “কোনও একটি উঁচু জায়গায় পৌঁছতে গেলে প্রতিটি মানুষকেই নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমি কেবল নির্দিষ্ট একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছিলাম। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাইনি। আমি আত্মজীবনীর মাধ্যমে তাদেরকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলাম, যারা জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। কাউকে সমালোচনা করার জন্য বই লিখিনি আমি।”
অন্যদিকে, এই বিতর্ক নিয়ে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিবন মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, “আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। এস সোমনাথ তাঁর বইতে আমার সম্পর্কে কী লিখেছেন, তা আমি দেখিনি।”