হাওড়া থেকেই ছাড়ে দেশের সবথেকে ধীরগতির ট্রেন, দাঁড়ায় ১১১টি স্টেশনে! কোন ট্রেন এটি, জানেন?
Indian Railways: পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা হয়ে পঞ্জাবের অমৃতসরে পৌঁছয় এই ট্রেন। ১৯১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। তবে অধিকাংশ দিনই এই ট্রেন লেট করে ৪০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় নিয়ে নেয় গন্তব্যে পৌঁছতে।
নয়া দিল্লি: দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে বুলেট ট্রেন ছোটানোরও পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তখন দেশের দ্রুততম ট্রেন হবে এটিই। দ্রুতগতির ট্রেনের খোঁজ তো সবাই রাখে, কিন্তু সবথেকে ধীরগতির ট্রেন সম্পর্কে জানেন? অবাক হবেন, অন্য কোথাও নয়, হাওড়া স্টেশন থেকেই ছাড়ে এই ট্রেন। কোন ট্রেন এটি, জানেন?
অনেকেই হয়তো এই ট্রেনে চড়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের রুটে অনেকেই এই ট্রেনে যাত্রা করেন ঠিকই, তবে ভরসা করতে পারেন না। কারণ একেই সবথেকে ধীর গতির ট্রেন, তার উপরে প্রায়সময়ই এই ট্রেন লেট করে। যাত্রীদের কার্যত ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয় কারণ যাত্রাপথে মোট ১১১টি স্টেশনে দাঁড়ায় এই ট্রেনটি। এটি হল হাওড়া-অমৃতসর মেইল।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা হয়ে পঞ্জাবের অমৃতসরে পৌঁছয় এই ট্রেন। ১৯১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। তবে অধিকাংশ দিনই এই ট্রেন লেট করে ৪০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় নিয়ে নেয় গন্তব্যে পৌঁছতে।
হাওড়া-অমৃতসর মেইল ভারতীয় রেলওয়ের অন্যতম পুরনো মেইল ট্রেন। ১৮৮৪ সালের ১ জানুয়ারি এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। দেশ ভাগের আগে এই ট্রেন পাকিস্তানের লাহোর জংশন পর্যন্ত যেত। মূলত সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ট্রেন চলত।
ঘণ্টায় ৫২ কিলোমিটার গতিবেগের এই ট্রেন হাওড়া থেকে সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে। অমৃতসরে গিয়ে পৌঁছয় তৃতীয় দিনে, সকাল ৮ টা ৪৫-এ। অমৃতসর থেকে আবার ওইদিনই সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে, হাওড়া পৌঁছয় তৃতীয় দিনে, সকাল সাড়ে ৭টায়।
অমৃতসর মেইলের স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ৬৯৫ টাকা। থার্ড এসির ভাড়া ১৮৭০ টাকা, সেকেন্ড এসির ভাড়া ২৭৫৫ টাকা এবং ফার্স্ট ক্লাস এসির ভাড়া ৪৮৩৫ টাকা।