Jallikattu: জাল্লিকাট্টুতে রইল না কোনও বাধা! তামিলনাড়ু সরকারের আইন বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত
Supreme Court of India: জাল্লিকাট্টু তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী এক প্রথা। পোঙ্গল উৎসবের সময় তামিলনাড়ুতে জাল্লিকাট্টু অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ষাঁড়ের লড়াই সংক্রান্ত শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যেরও প্রতীক। তবে জাল্লিকাট্টু বন্ধের দাবি জানিয়ে পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট (পেটা) তামিলনাড়ু সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পিটিশন দায়ের করেছিল আদালতে।
নয়াদিল্লি: জাল্লিকাট্টু নিয়ে তামিলনাড়ু সরকারের আইন বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ষাঁড়ের লড়াই সংক্রান্ত এই খেলা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে তামিলনাড়ুতে। কিন্তু নৃশংসতার বিষয়টি নিয়ে তা বন্ধের জন্য আবেদন জমা পড়ে আদালতে। দেশের শীর্ষ আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলছিল। তার পরই এই আইন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে তামিলনাড়ু সরকারের আইনকে বহাল রাখা হল। এ ব্যাপারে বিচারপতি কেএম জোশেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, “যখন আইনসভা জাল্লিকাট্টুকে তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতির ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে, তখন তা নিয়ে বিচার ব্যবস্থা ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে না।” যদিও ষাঁড়ের লড়াই সংক্রান্ত খেলাকে নৃশংসও বলেছে আদালত।
জাল্লিকাট্টু তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী এক প্রথা। পোঙ্গল উৎসবের সময় তামিলনাড়ুতে জাল্লিকাট্টু অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ষাঁড়ের লড়াই সংক্রান্ত শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যেরও প্রতীক। তবে জাল্লিকাট্টু বন্ধের দাবি জানিয়ে পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট (পেটা) তামিলনাড়ু সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পিটিশন দায়ের করেছিল আদালতে। সেই আবেদনের শুনানিতেই তামিলনাড়ু সরকারের আইন বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।
জাল্লিকাট্টুর মধ্যে নৃশংসতার বিষয়টি উঠে এসেছিল আদালতের শুনানিতে। এই প্রথার মধ্যে নৃশংসতা রয়েছে তা স্বীকার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, এই প্রথায় ষাঁড়কে আহত করার উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ লিপ্ত হন না। কোনও অস্ত্রও ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু মাঝে মধ্যে যে রক্তপাত ঘটে তা পুরোটাই দুর্ঘটনাবশত।