Jawaharlal Nehru’s Speech: ১৯৪৭ সালের ভাষণে কী বলেছিলেন নেহরু?
নতুন ভাবে বাঁচার উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল গোটা দেশ। দেশ আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা লাভের সেই সময়ের সাক্ষী থাকতে লালকেল্লার সামনে ভিড় জমেছিল ভালই। সেই সময়ে স্বাধীনতার ভাষণ দিতে ওঠেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
নয়াদিল্লি: ব্রিটিশের কব্জা থেকে বেরিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে ভারতের লেগেছিল প্রায় ১৯০ বছর। কত প্রাণ বলিদানের পর ১৯৪৭ সালে এল সেই দিন। ১৫ অগস্ট। অর্থাৎ ১৪ অগস্ট রাত ১২টার পর। সেই দিন নতুন ভাবে বাঁচার উন্মাদনায় মেতে উঠেছিল গোটা দেশ। দেশ আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা লাভের সেই সময়ের সাক্ষী থাকতে লালকেল্লার সামনে ভিড় জমেছিল ভালই। সেই সময়ে স্বাধীনতার ভাষণ দিতে ওঠেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। দেশের জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেদিন নেহরুর মুখে উঠে এসেছিল একাধিক প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা লাভ তো হল, এক ঐক্যবদ্ধ দেশ হিসাবে তার পরবর্তী পথচলার দিকেও আলোকপাত করেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টে জওহরলাল নেহরুর ভাষণের প্রথমাংশ- “দীর্ঘ সময় আগে আমরা নিয়তির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এখন সময় এসেছে। আমরা আমাদের অঙ্গীকার শুধু সম্পূর্ণ রূপে নয়, খুব উল্লেখযোগ্য ভাবে পূরণ করব। বিশ্ব যখন ঘুমে মগ্ন, তখন মধ্যরাতের এই উন্মাদনায় ভারত জীবন এবং স্বাধীনতায় জেগে উঠবে। এমন কিছু মুহূর্ত আছে যা ইতিহাসে কম সময়ের জন্য জন্য আসে। যখন আমরা পুরাতন থেকে নতুনের দিকে পা বাড়াই, যখন একটি যুগ শেষ হয় এবং যখন দীর্ঘ নিপীড়িত জাতির আত্মা স্বর খুঁজে পায়। সেই গৌরবময় মুহুর্ত উপযুক্ত সময় ভারত ও তার জনগণের সেবা এবং মানবতার আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্যের প্রতি উৎসর্গের অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য।”
স্বাধীনতার পাওয়ার পর যে দেশ গড়ার ডাক জওহরলাল নেহরু দিয়েছিলেন, সেই কাজ যেন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।