Joshimath situation: জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
এখনও পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের ৪,৫০০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে ৬১০টি বাড়িতে বড় ফাটল হয়েছে। যার মধ্যে কতকগুলি হোটেলও রয়েছে।

জোশীমঠ: জোশীমঠ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। অন্যদিকে, জোশীমঠকে ধস-প্রবণ এলাকা ঘোষণা করে ওই এলাকা বসবাসের অযোগ্য বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই ৬০টির বেশি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিন ধস-কবলিত জোশীমঠ এলাকা পরিদর্শনে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানান, এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি উদ্ধারকাজে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সমস্ত রকম উন্নয়নের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে সরাসরি কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুপুরেই জোশীমঠ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সে আয়োজিত ওই বৈঠকে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, সরকারি আধিকারিক সহ জোশীমঠ এলাকার প্রশাসনিক আধিকারিক, উত্তরাখণ্ডের সরকারি আধিকারিক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। কী ভাবে জোশীমঠ এলাকার ধস ঠেকানো যায় এবং পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চামোলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের ৪,৫০০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে ৬১০টি বাড়িতে বড় ফাটল হয়েছে। যার মধ্যে কতকগুলি হোটেলও রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯০টির বেশি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। তাঁদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা। তিনি নিজে ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন।
এদিকে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চারটি দলের পাশাপাশি রেড ক্রস সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও যোশীমঠে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। চারধামের মধ্যে হাইওয়ে এবং বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জেরেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আপাতত এই দুটি প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখারও দাবি তুলেছেন তাঁরা।





