Jayalalitha’s death Probe: জয়ললিতার মৃত্যু বিতর্কে যবনিকা টানতে জমা পড়ল রিপোর্ট
Tamil Nadu: ৫ ডিসেম্বর ২০১৬-তে মৃ্ত্যুর আগে জয়ললিতাকে চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ৭৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চেন্নাই: তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার (Jayalalitha) মৃত্যুর তদন্তে গঠিত বিচারপতি অরুমুঘস্বামী কমিশন (Justice Arumughaswamy Commission) শনিবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্ট পেশের পর বিচারপতি অরুমুঘস্বামী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ১৫০ জনের থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের পর রাজ্য সরকারে কাছে ইংরেজিতে ৫০০ পাতা ও তামিল ভাষায় ৬০০ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। বিচারপরতি অরুমুঘস্বামী বলেন, “এই রিপোর্ট প্রকাশিত হবে কি না, সেই নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।” তিনি জানিয়েছেন, প্রয়াত জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়গুলি রিপোর্টে উল্লেখ করা রয়েছে। বিচারপতি অরুমুঘস্বামী জানিয়েছেন, অনেকের মতে তাঁর নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিশন ‘কোর্টের মতো কাজ করেছে।’
জানা গিয়েছে, বিচারপতি অরুমুঘস্বামী কমিশনের কাছে এআইএডিএমকে শীর্ষনেতা ও পনিরসেলভম, জয়ললিতার ভাইঝি দীপা, ভাইপো দীপক, জয়ললিতার চিকিৎসক, এবং রাজ্যের শীর্ষ সরকারি আধিকারিকরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়বাসকর, এম থামবি দুরাই, সি পোনাইয়ান এবং মনোজ পান্ডিয়ানের মতো এডিএমকে নেতারাও কমিশনের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। দীপক ও দীপ তাদের পিসির মৃত্যু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০১৮ সালে জয়ললিতার বিশেষ আস্থাভাজন ভিকে শশীকলা আইনজীবী মারফত কমিশনের কাছে হলফনামা পেশ করেছিলেন।
৫ ডিসেম্বর ২০১৬-তে মৃ্ত্যুর আগে জয়ললিতাকে চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ৭৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। হলফনামা পেশ করে জয়ললিতার হাসপাতালে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শশীকলা। সাম্প্রতিক তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লি এইমসের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডকে জয়ললিতাকে দেওয়া চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এইমসের চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট খতিয়ে দেখার জন্য বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর ২০১৭ সালে আগের এআইএডিএমকে সরকার অরুমুঘস্বামী কমিশন তৈরি করেছিলেন। বিচারপতি অরুমুঘস্বামী মাদ্রাজ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।





