Kanjhawala death case: ‘ও উধাও হয়ে গিয়েছিল কেন?’ দিল্লি কাণ্ডে বান্ধবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি অঞ্জলির পরিবারের
Kanjhawala death case: মঙ্গলবারই (৩ জানুয়ারি), মুখ খুলেছিলেন নয়া দিল্লিতে গাড়ির নিচে আটকে গিয়ে ভয়াবহভাবে মৃত তরুণী অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী নিধি। তবে, তাঁর সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিল অঞ্জলির পরিবার।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই (৩ জানুয়ারি), মুখ খুলেছিলেন নয়া দিল্লিতে গাড়ির নিচে আটকে গিয়ে ভয়াবহভাবে মৃত তরুণী অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী নিধি। দুর্ঘটনার সময় যিনি স্কুটিতে সওয়ার ছিলেন। তবে, বুধবার (৮ জানুয়ারি), তাঁর সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিল অঞ্জলির পরিবার। তারা এদিন বলেছে, “নিধির করা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। দুর্ঘটনার পর সে কোথায় ছিল? অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল কেন?” আরও দাবি করেছিলেন দুর্ঘটনার সময় অঞ্জলি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু, তার সেই দাবি মানতে চায়নি অঞ্জলির পরিবার। তাদের পারিবারিক ডাক্তার বলেছেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অঞ্জলির পেটে খাবার পাওয়া গিয়েছে। যদি ও মদ্যপ অবস্থায় থাকত, তাহলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেই রাসায়নিকের উপস্থিতির কথা জানানো হত। কিন্তু রিপোর্টে শুধু খাবারের কথাই বলা হয়েছে।”
বস্তুত নিধির বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার নিধি দাবি করেছিলেন, “ও (অঞ্জলি) মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তবে স্কুটি চালাবে বলে জোর করেছিল। আমি ওকে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, আমায়চালাতে দিতে। ও রাজি হয়নি।” এছাড়াও তিনি আরও দাবি করেন, ঘাতক গাড়িটির সওয়াররা জেনে শুনেই অঞ্জলিকে চাপা গিয়েছে। অন্তত দুইবার গাড়ি সামনে-পিছনে নিয়ে তাকে চাপা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন, গাড়িটিতে কোনও গান বাজছিল না। অঞ্জলি চিৎকার করে উঠেছিল। তা গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের কানে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
তবে, অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এর থেকে আলাদা। গাড়ির সওয়াররা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। গাড়িতে জোরে গান চলছিল। দুর্ঘটনার পর যে অঞ্জলি তাদের গাড়ির নিচে আটকে গিয়েছিল, তা তারা টেরই পায়নি। তাঁর কোনও চিৎকারও তাদের কানে যায়নি। ঘটনার অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী, যারা রাস্তা দিয়ে গাড়িটি চলার সময় তার নিচে অঞ্জলিকে আটকে থাকতে দেখেছিল, তারাও জানিয়েছেন, গাড়িটিতে জোরে গান বাজছিল।
এই অবস্থায় নিধির বয়ান নিয়ে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল দাবি করেছেন, মৃতা অঞ্জলির চরিত্র হননের চেষ্টা করছে নিধি। তাঁর দাবির বিষয়ে পুলিশি তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। নিধি জানিয়েছিলেন দুর্ঘটনার পর তিনি এতটাই অসহায় বোধ করেছিলেন এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী রাত আড়াইটে নাগাদ নিধি বাড়ি ফিরেছিলেন। সম্ভবত পায়ে হেঁটেই ফিরেছিলেন তিনি। কারণ দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়ি দূরত্ব সামান্যই।