PC George: চলছিল সোনা পাচার মামলার জেরা, তার মধ্যেই অভিযোগ এল যৌন হেনস্থার! গ্রেফতার সাতবারের বিধায়ক

PC George Arrested: যৌন হেনস্থার অভিযোগে শনিবার (২ জুলাই) গ্রেফতার করা হল কেরলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা কেরল জনপক্ষম দলের সাতবারের প্রাক্তন বিধায়ক পিসি জর্জকে। সাড়া ফেলে দেওয়া সোনা পাচার মামলায় তাঁর জেরা চলার মাঝেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

PC George: চলছিল সোনা পাচার মামলার জেরা, তার মধ্যেই অভিযোগ এল যৌন হেনস্থার! গ্রেফতার সাতবারের বিধায়ক
কেরল জনপক্ষম দলের নেতা, সাতবারের প্রাক্তন বিধায়ক পিসি জর্জ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2022 | 5:50 PM

তিরুঅনন্তপূরম: যৌন হেনস্থার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হল কেরলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা কেরল জনপক্ষম দলের সাতবারের প্রাক্তন বিধায়ক পিসি জর্জকে। ২০১৩ সালের সোলার প্যানেল মামলায় অভিযুক্ত এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছে কেরল পুলিশ। অথচ, সোলার প্যানেল মামলার সঙ্গে যুক্ত যৌন কেলেঙ্কারিতে জর্জের নাম এর আগে কখনও উঠে আসেনি। প্রকৃতপক্ষে, কেরলে সাড়া ফেলে দেওয়া সোনা পাচার মামলায় তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কে টি জলিল অভিযোগ করেছিলেন, সোনা পাচার মামলায় অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজাচ্ছেন জর্জ।

এদিন সেই অভিযোগের বিষয়ে তিরুঅনন্তপূরমের এক গেস্ট হাউসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ জর্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। সূত্রের খবর, তার মধ্যেই নাটকীয়ভাবে হানা দেয় ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ। জর্জকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে জানানো হয়। পরবর্তীকালে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৫৪-র ক ধারার আওতায় রাজ্যের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিককে গ্রেফতার করা হয়। কেরল পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অভিযোগ করেছেন যে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে থাইকডের এক গেস্ট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পিসি জর্জ। ওই গেস্ট হাউসেই তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন বছর সত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক। ওই ঘটনার পরও জর্জ থামেননি। বরং, অভিযোগকারিনীকে তিনি একের পর এক অনুপযুক্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

তবে, অভিযোগকারী মহিলা ঠিক কখন জর্জের বিরুদ্ধে এই যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা স্পষ্টভাবে জানায়নি পুলিশ। বস্তুত, এর আগে কখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কিছু শোনা যায়নি। তবে, জানা গিয়েছে জর্জের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের মামলা করেছেন কেটি জলিল, সেই মামলায় অভিযোগকারিনীকে সরকার পক্ষের সাক্ষী করা হয়েছে। তিনি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে আদালতে বিবৃতিও দিয়েছেন। কেটি জলিলের দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এদিন জর্জকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারি একেবারে অপ্রত্যাশিত ঘটনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এদিকে এদিন গ্রেফতারির পরই আরও বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন কেরল জনপক্ষম দলের এই নেতা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগকারিনীর নাম প্রকাশ করে ফেলেন। ‘মনোরমা’ পোর্টালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁকে সেই বিষয়ে সতর্ক করা হলে, নির্যাতিতা মহিলার সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন। তবে, তাঁর গ্রেফতারিকে জর্জ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সৌর কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডির বিরুদ্ধে আমি কোনও বিবৃতি দিইনি বলে তাঁর (বিজয়ন) আমার উপর ক্ষুব্ধ।’

অভিযোগকারী মহিলা এর আগেও কেরলের একাধিক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল, হিবি ইডেনের মতো নেতার নাম রয়েছে সেই তালিকায়। কেরল কংগ্রেস (এম) নেতা জোসে কে মানির বিরুদ্ধেও তিনি একই অভিযোগ করেছিলেন। তবে তিনি এলডিএফ জোটে আসার পরই মহিলার অভিযোগপত্র থেকে মানির নাম বাদ গিয়েছিল। পুলিশ তাঁর অভিযোগকে পাত্তা না দেওয়ায়, সিবিআই তদন্ত চেয়ে তিনি পিনারাই বিজয়নের কাছেও আবেদন করেছিলেন। কেরল সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে সিবিআই সেই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নেতাকেই গ্রেফতার করা হয়নি।