Lakhimpur Case Update: লখিমপুর কাণ্ডে নজরদারি করতে প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের
SC Appoints Ex Judge to Monitor Lakhimpur Probe: উত্তর প্রদেশ সরকার চার্জশিট দাখিল ও বিচারপতি রাকেশ জৈন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
নয়া দিল্লি: লখিমপুর কাণ্ডের (Lakhimpur Kheri Violence) তদন্তের গতি নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court), এ বার গোটা তদন্তে নজরদারি করতে শীর্ষ আদালতের তরফে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রাকেশ কুমার জৈন(Rakesh Kumar Jain)-কে নিয়োগ করা হল।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ (NV Ramana) বলেন, “লখিমপুরে চার কৃষক সহ মোট আটজনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গোটা তদন্তের উপর নজরদারি করবেন প্রাক্তন বিচারপতি রাকেশ জৈন।” যদিও বিশেষ তদন্তকারী দল উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে নিয়োগ করা প্রাক্তন বিচারপতির নজরদারিতেই এই মামলার তদন্ত করবে।
গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে উত্তর প্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Government)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সুষ্ঠভাবে তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দলে যেন আরও সদস্য যোগ করা হয় এবং দক্ষ আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়। এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরই শীর্ষ আদালতের তরফে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে গোটা তদন্তে নজরদারি করার জন্য নিয়োগের নির্দেশ পাশ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে উত্তর প্রদেশ সরকার পুলিশ অফিসার শিরোদকার, আইপিএস অফিসার প্রীতেন্দর সিং ও উত্তর প্রদেশের আইজি পদ্মজা চৌহানকে তদন্তকারী দলের অংশ বানানোর প্রস্তাব জমা দেয়। বুধবার প্রধান বিচারপতি জানান, এই তিনজন সিটের সদস্য হিসাবে তদন্ত চালাবেন।
গত ৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের। মন্ত্রীদের আসার পথেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। আচমকাই কনভয় থেকে একটি কালো রঙের এসইউভি গাড়ি কৃষকদের ধাক্কা মারে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনায় ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি।
শীর্ষ আদালতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশীষ মিশ্র সহ মোট ১২ জনকে। তবে তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে প্রথম থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও প্রশাসনের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজরদারির জন্য পর্যবেক্ষক হিসাবে কোনও আইনজীবীকেও নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দু’দিন আগেই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে তদন্তের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারির জন্য কোনও হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়োগ করার প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তিন আইপিএস অফিসারকেও বিশেষ তদন্তকারী দলে নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার চার্জশিট দাখিল ও বিচারপতি রাকেশ জৈন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার লখিমপুর খেরি জেলা ও সেশন আদালতে আশীষ মিশ্র ও দুই জন অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানালেও সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।